The News Nest: রাজ্যপাল যে বিজেপির প্রতি বিশেষ দুর্বল তা নিয়ে প্রকাশ করতে ভালোবাসেন। এই নিয়ে তার বিশেষ লুকোছাপা নেই। বরং তা করতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করে বসছেন যা আসলে দিলীপ ঘোষের স্ক্রিপ্ট। অমিত শাহের ভার্চুয়াল প্রচারের তিনিও যে এমন উত্তেজিত হয়ে পড়বেন তা অনেকেই ধর্ণা করেননি।
নরম-গরম টুইট করা তাঁর বেশ একটা ‘হবি’ গোছের ব্যাপার। বুধবার এমনই টুইট করেন তিনি।টুইট করে তিনি বলেন ” পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা উদ্বেগজনক। শাসক দলের কর্মীর মতো তারা একদম সামনের সারিতে এসে আচরণ করছে। এটা অবিলম্বে শেষ হওয়া দরকার। এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এটার জন্য আগামী দিনে দাম দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র একমাত্র বাঁচতে পারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং রিগিং বন্ধ হলে। স্বাধীনতা গণতন্ত্র ছাড়া থাকে না। এটা আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব সবার স্বাধীনতা রক্ষা করা।”
আরও পড়ুন : দুই শিফটে কাজ হবে সরকারি অফিসে, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যপালের এই টুইট নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে ঘরোয়া আলোচনায় শাসকদলের নেতারা বলছেন, বাংলার পুলিশ প্রশাসন মানুষের ক্যাডার হয়ে কাজ করছে। কিন্তু অমিত শাহের ভাষণ শুনে রাজ্যপাল বিজেপি নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
রাজনৈতিক হিংসা ও ভোট লুঠ নিয়েও শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড় । মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাজ্যপাল লিখেছেন, “রাজনৈতিক হিংসা, রিগিং বন্ধ হলে তবেই বাংলায় গণতন্ত্র টিকে থাকবে। গণতন্ত্র ছাড়া স্বাধীনতা থাকে না।”
রাজ্যপাল মাঝে মধ্যে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা বলেন, কিন্তু লোকে বলে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক দায়িত্ব নাকি একই। অর্থাৎ দুটোই হল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তুষ্ট করা। বঙ্গ বিজেপি কতটা কোমর কোষে নামছে এখনও স্পষ্ট নয়, তবে রাজ্যপালের উৎসাহের খামতি নেই। লোকজনে এমনটা বলাবলি করছে।
আরও পড়ুন : বুধবার থেকে চালু হল চন্দননগর-ফেয়ারলি ফেরি পরিষেবা, গায়ে গা ঘেঁষে অফিসমুখো যাত্রীরা