আজ নতুন কৃষি বিলের (Farm Bill 2020) প্রতিবাদে পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি কৃষি সংগঠন ‘ভারত বনধ’ ডেকেছে। এই বনধকে সমর্থন করেছে শাসক কংগ্রেস ও বিরোধী আপ দুই দলই। তবে এই বনধ শেষ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে পাঞ্জাবেই। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ হয়ে গিয়েছে বিতর্কিত তিনটি কৃষি বিল।
সংসদের বিক্ষোভ নেমে এসেছে সড়কে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় একাধিক স্থানে কৃষকেরা আজ দিনভর রেল ও সড়ক অবরোধ করেন। আগামিকাল মিলিত ভাবে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে দেশের কৃষক সংগঠনগুলি। তাতে নীতিগত সমর্থন জানিয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল।
বিল পাশের সময় ৮ বিরোধী সাংসদের বিরুদ্ধে উচ্চকক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁদের সাসপেন্ড করেন। কেবল রাজ্যসভা নয়, সারা দেশেই কৃষকরা শুরু করেছেন প্রতিবাদ আন্দোলন।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর মা গায়েত্রীদেবী
এই পরিস্থিতিতে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষকদের বার্তা দিতে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। তিনি বলেন, ‘‘এই বিলে কৃষকদের ক্ষতি হবে, এমন কোনও বিষয় নেই। ছোট কৃষকদের লাভের কথা ভেবেই বিল আনা হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, মূলত কংগ্রেসের উস্কানির ফলে কৃষকেরা ভুল বুঝে সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
শুক্রবারের ভারত বনধ ডেকেছে পাঞ্জাবের ৩১টি কৃষি সংগঠন। হরিয়ানার ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন’ জানিয়েছে, তারা কোনও কোনও সংগঠনের দেশব্যাপী বনধের প্রস্তাবকেও সমর্থন করেছেন। এক বিবৃতিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, তাঁর সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। সেই কারণে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের কোনও অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হবে না।
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেসও। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ২ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছে তারা। যুব কংগ্রেস দেশের নানা স্থানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক সিংভি মোদি সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিলের ব্যাপারে সকলকে ভুল বুঝিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই বিলের ফলে দেশের কৃষক শ্রেণি কর্পোরেট দাসত্বের শিকার হবে।
অর্ডিন্যান্স জারি করে পাশ করা বিলে কৃষকদের খুব উপকার হবে বলে দাবি করছেন মোদী। কিন্তু এই বিলে বহু কথায় স্পষ্ট ভাবে বলা নেই। বিশেষ করে কর্পোরেটরা কৃষকদের ন্যূনতম টাকা না দিলে তাঁর কী করবে, কোনও উত্তর নেই। কর্পোরেটদের সঙ্গে একজন সাধারণ চাষী কিভাবে যোগাযোগ করবে তাঁর জবাব নেই। কৃষককে যদি ওই কর্পোরেট বিশেষ ধরণের ফসল উৎপাদনে বদ্ধ করে, তাহলে কৃষক কী করবে নেই জবাব। এমন হাজারও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব নেই। যদি থাকত তাহলে আলোচনাতেই বিল পাশ হত, অর্ডিন্যান্স করতে হত না। মন্তব্য বিরোধীদের।
তবে ভাষণ দিয়ে চলেছেন মোদী। তাঁর ভাষণ ভক্তদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই গেরুয়ায় শিবিরের ধারণা। তাদের বলে দেওয়া হবে এর ফল পাকিস্তান জব্দ হয়ে গিয়েছে। তাহলে আর কিছু দরকার হবে না। ভারত মাতা কী জয় স্লোগানেই কাজ মিতে যাব। ক্রসকরা হয়ত আগামীতে কর্পোরেট করসেবককে পরিণত হবে। যোগী হয়তো তাদের নয়া নাম দিতে পারেন কর্পোরেট করসেবক।
আরও পড়ুন : রোগা মেয়েদের তুলনায় মোটা মেয়েরা বিছানায় অনেক বেশি পারদর্শী! বলছে গবেষণা