সিরিজ হেরে আন্ডারডগ হিসেবেই ক্যানবেরায় নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিল ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে উত্তেজক জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম দু’টি ওয়ানডেতে জঘন্য হারই সিরিজের ফয়সালা করে দিয়েছিল। বাকি ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচটি। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেই ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। দলের বোলিং বিভাগে একাধিক পরিবর্তন এনেই ম্যাচ জিতল টিম ইন্ডিয়া। টি নটরাজন, শার্দুল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদব দলে সুযোগ পেয়েই দুরন্ত বোলিং করলেন। আর তাঁদের সৌজন্যেই ৩০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে ২৮৯ রানেই থামল অজিদের ইনিংস। ভারত ম্যাচ জিতল ১৩ রানে।
প্রথম দু’টি ম্যাচে টস হেরে পরে ব্যাট করেছিল ভারত। তবে এদিন টস জেতেন বিরাটই। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেনি টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ২৬ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ধাওয়ান। এদিন মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া শুভমন গিল সেট হওয়ার পরও হতাশ করেন। তিনি করেন ৩৩ রান। ফের ব্যর্থ আইয়ার। তাঁর সংগ্রহ ১৯ রান। লোকেশ রাহুলও এদিন মাত্র ৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: শাসক দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের পোস্টে ‘ভুয়ো’ তকমা সেঁটে দিল টুইটার
A well deserved Man of the Match award for @hardikpandya7 for his unbeaten knock of 92.#AUSvIND pic.twitter.com/KOH2yA7tIW
— BCCI (@BCCI) December 2, 2020
এরপরই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের জাত চেনালেন দুই অলরাউন্ডার। দু’জনেই অপরাজিত থাকলেন শেষ পর্যন্ত। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক বিরাটও ৬৩ রান করেই আউট হন। বলতে গেলে ভাল ব্যাটিং করলেও মাঠেই নিজের শতরানটি ফেলে আসেন।
এরপর হার্দিক যখন ব্যাট করতে এলেন তখন মাত্র ১৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে ভারত। তখনও বাকি ১৯ ওভার। সেখানে থেকে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভাবে না খেলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিলেন হার্দিক (Hardik Pandya)। শেষপর্যন্ত ব্যাট করলেন তিনি। মাত্র ৭৬ বলে করলেন ৯২ রান। হার্দিকের মতোই দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন জাদেজাও। একই পরিস্থিতিতে নেমে তিনি করলেন ৫০ বলে ৬৬ রান। এই দুই অলরাউন্ডারের ইনিংসে ভর করেই অজিদের ৩০৩ রানের সম্মানজনক টার্গেট দেয় ভারত।
শেষপর্যন্ত বুমরাহর বলে মাত্র ৩৮ বলে ৫৯ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। আর ম্যাক্সওয়েল ফিরতেই ফের একবার লড়াইয়ের সুযোগ পায় টিম ইন্ডিয়া। আর সেটাকেই কাজে লাগান বুমরাহ–শার্দুল–নটরাজনরা। ডেথ ওভারে তিনজনেই দুরন্ত বোলিং করেন। ফলে ম্যাক্সওয়েল আউট হতেই দ্রুত উইকেটের পতন ঘটে অস্ট্রেলিয়ার। শেষপর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২৮৯ রানে অলআউট হয় অজিরা। আর ১৩ রানে ম্যাচ জিতে মুখরক্ষা করলেন বিরাটরা।
আরও পড়ুন: দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট, রেকর্ডের সামনে থাকলেও বাদ পড়লেন শামি