ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী দেশ হাইতি (Haiti)। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭.২। শনিবার সেদেশের স্থানীয় সময় সকালবেলা (ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ) ভয়াবহ কম্পন অনূভূত হয় সেদেশের পশ্চিম অংশে। নিমেষে ধুলোয় মিশে যায় একাধিক বাড়ি-ঘর। চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে গেল রাস্তাঘাট। নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না মিললেও, ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতাও।
সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে আচমকাই তীব্র কম্পনে কেঁপে ওঠে দেশের পশ্চিমাংশ। তাতেই মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় একাধিক এলাকা। আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে, ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। দেশের অন্যত্রও কম্পন অনুভূত হয়। শুধু তাই নয়, পড়শি দেশগুলিতেও দীর্ঘ সময় ধরে আফটার শক অনুভূত হয়।
Images of damage in #Haiti from a 7.2 magnitude earthquake, this morning. I cannot independently verify the image, which is being widely circulated on social media. pic.twitter.com/BjG9CB1xs0
— 268Weather (@268Weather) August 14, 2021
শনিবারের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতি সরকার। তবে কত জনের প্রাণহানি ঘটেছে, রাত পর্যন্ত তার হিসেব মেলেনি। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান জেরি চ্যান্ডলার বলেন, ‘‘প্রাণহানি ঘটেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত। তবে এখনও পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি আমরা।’’
L’hôpital général aux Cayes est débordé. Beaucoup de blessés. Beaucoup de maisons se sont effondrées aux Cayes. Dont un hôtel.
? Jose Flécher
Bilan partiel #Haiti #earthquake 14-08-21 pic.twitter.com/pze11oojI8— Frantz Duval (@Frantzduval) August 14, 2021
২০১০ সালের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭। কমপক্ষে ২.৫ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলেন হাইতিতে। ধসে গিয়েছিল দেশের অর্থনীতি। সে বার ৫০ লক্ষ ডলার দিয়ে হাইতিকে সাহায্য় করেছিল ভারত। শনিবারের ভূমিকম্পে তাই আতঙ্কিত দেশের মানুষ।
উত্তর অতলান্তিকের গা ঘেঁষে অবস্থিত হাইতি ভূমিকম্প প্রবণ বলেই পরিচিত। এ ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে সেখানে। ২০০২, ২০০৩, ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে পর পর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয় সেখানে, তাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। উত্তর গোলার্ধের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতি। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বহু দেশ বিভিন্ন সময় বিপুল অনুদান দিলেও, সেখানকার পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়া হোক গান্ধিজীকে, প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে