নারদ মামলায় চার্জশিট দাখিলের প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে ‘ব্যাখ্যা’ চাইতে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরকে (ইডি) ‘তলব’ করতে চলেছেন তিনি। যা কার্যত নজিরবিহীন বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সূত্রের খবর, দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি পাঠানোর কাজ চলছে। যা ভারতের রাজনীতিতে বিরল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কিছুদিন আগেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে নারদ মামলায় (Narada Case) চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। চার্জশিট পেশ করা হয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর বিরুদ্ধেও। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও রাজ্যের এই তিন জনপ্রতিনিধি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। ইডির বিশেষ আদালত সেই চার্জশিটের প্রক্ষিতে সমনও জারি করেছে। স্পিকারের অভিযোগ, এই চার্জশিট নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: আজ ভবানীপুরে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা, উপ নির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর
নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়ক বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে হলে তা স্পিকারকে জানাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও কিছুই তাঁকে জানিয়ে করা হচ্ছে না। এমনকী ইডির আদালত যে সমন পাঠিয়েছে, সেটিও নাকি বিধানসভায় (WB Assembly) পাঠানো হয়েছে, স্পিকারের মাধ্যমে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাতেও আপত্তি জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এভাবে সমন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বিধানসভার নয়।
সূত্রের খবর, এসব নিয়েই শুক্রবার বিধানসভায় একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে আলোচনা হয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য বিধানসভার স্পিকারের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নারদ মামলায় স্পিকারের কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। স্পিকার জানিয়েছেন, তাই ফিরহাদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করেছে ইডি। তিনি মনে করছেন, এ সবটাই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইচ্ছাকৃতভাবে করছে। এরপরই বিমানবাবু ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বিধানসভার সচিবালয়ে সেই চিঠি তৈরিও হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভবানীপুর: কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন প্রিয়ঙ্কা, মমতার প্রচারে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন ফিরহাদ