‘ব্যবসায়ী ও ব্রাহ্মণরা আমার পকেটে।’ জাতি ভিত্তিক এই মন্তব্যে করে বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যপ্রদেশে ইনচার্জ মুরলিধর রাও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের এহেন মন্তব্যের প্রবল বিরোধিতার পথে বিরোধীরা। বিজেপি নেতাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? সোমবার ভোপালে দলের সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন মুরলিধর। সেখানে তিনি জানান, তফসিলি জাতি ও উপজাতির দিকে তাঁরা স্পেশাল ফোকাস করছেন। তবে তা নিছক ভোট ব্যাংক হিসেবে নয়। অনগ্রসর শ্রেণির জন্য উদ্বেগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কেবল তপসিলিদের কথা বলছেন কেন। যেখানে তাঁর দল ‘ব্রাহ্মণ-ব্যবসায়ী’দের দল।
এরপরই মুরলি নিজের কুর্তার পকেটের দিকে নির্দেশ করে বলে ওঠেন, ”ব্রাহ্মণ ও ব্যবসায়ীরা আমার পকেটে থাকে। আপনারা আমাদের ব্রাহ্মণ ও ব্যবসায়ীদের দল বলে থাকেন, যেহেতু আমাদের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থকরা ওই শ্রেণির।” তবে বিজেপি যে সমাজের সব শ্রেণি থেকেই কর্মীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তাও জানিয়ে দেন তিনি।
ওই সাংবাদিক সম্মেলনের ৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এরপরই কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীরা কাঠগড়ায় তোলে বিজেপি নেতাকে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও অন্যান্য নেতারা তোপ দেগেছেন। কমল নাথের বক্তব্য, বিজেপি যেখানে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ স্লোগান দেয় সেখানে কী করে বলতে পারে ব্রাহ্মণ ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় তাদের পকেটে রয়েছে। কমল নাথ বলেন, ‘‘মুরলীধর রাওয়ের মন্তব্য সমাজের এই শ্রেণির মানুষের প্রতি অপমান। কারণ, বিজেপি দাবি করছে, এঁরা যেন তাদের সম্পত্তি।’’
বিজেপিকে গড়ে তুলেছেন যাঁরা, তাঁদের প্রতি দল এখন কী সম্মান দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা। মুরলীধর অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছ। একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘সমাজের কোনও অংশকে বঞ্চিত করি না আমরা।’’