এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের ত্রাস করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু, এই আতঙ্কের মধ্যেই আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ওমিক্রণ সংক্রমণ একটি ‘ভালো লক্ষণ’। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে স্ট্রেনটি। এই নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করছে WHO।
কেন ওমিক্রণের ছড়িয়ে পড়া ‘ভালো লক্ষণ’?
এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে আশার আলো দেখছেন গবেষকরা। ভাইরোলজিস্ট Marc van Ranst এক কথায়, ‘ ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণে করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা যেত। এই ভ্যারিয়্যান্ট অত্যন্ত ঘাতক বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, ওমিক্রণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিকই, কিন্তু, আক্রান্তের দেহে অনেক কম উপসর্গ দেখা যায়। এদিকে ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে ডেল্টার পরিবর্তে ওমিক্রনকে জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। এটি একটি পজিটিভ খবর।’
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন কুলভূষণ যাদব, বিল পাশ পাকিস্তানের
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ মার্ক ভ্যান জানাচ্ছেন, ওমিক্রন কতটা বিপদজ্জনক এবং টিকার দুটি ডোজের পরেও কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু যদি এটা প্রমাণিত হয় ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ততটা ভয়াবহ নয়, তবে তা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত সুখবর হবে। মার্ক ভ্যানের কথায়, ‘যদি ওমিক্রন কম বিপজ্জনক হয় অথচ বেশি ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে, তাহলে ওমিক্রন ডেল্টা স্ট্রেনকে সরিয়ে প্রধান সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে। যা অত্যন্ত পজিটিভ দিক।’
এখনও পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজাতি হিসেবে ‘ডেল্টা’-কেই চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২০ সালের শেষে ভারতে প্রথম খোঁজ মেলে ডেল্টা প্রজাতির। আস্তে আস্তে তা গোটা বিশ্বের ১৬৩টি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। শুরুতেই যে পরিমাণ সংক্রমণ ডেল্টা ছড়িয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ওমিক্রন-এর সেই মার্জিন ছোঁয়া বেশ কঠিন।যদিও ইতিমধ্যেই ওমিক্রন-এর বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুতি শুরু করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কোনও যাত্রী মুম্বই বিমানবন্দর দিয়ে এলে কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সম্প্রতি।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবশেষে স্নাতক হলেন কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী Malala Yousafzai