বর্ধমান: বাজারে মাস্কের অভাব। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে মাস্ক পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন বাসিন্দারা। সেই অভাব দূর করতে সমন্বয় কমিটি গড়ে পথে নামল বর্ধমানের নীলপুরের ক্লাবগুলি। একযোগে তাঁরা বাসিন্দাদের মুখে মাস্ক বেঁধে দিলেন। হুড়োহুড়ি করে মাস্ক নিলেন আতঙ্কিত অনেকেই। এদিনই দু-হাজার বাসিন্দার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। শহর জুড়ে এই কর্মসূচি চালান হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে বর্ধমানের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকরা একত্রিত হয়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা এলাকার ক্লাবগুলিকেও পাশে ডাকেন। এলাকার সব ক্লাব তাদের সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসে। এরপর নাগরিক ও ক্লাব সমন্বয় কমিটি গড়ে শুরু হল বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ। এদিন সকাল থেকে বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর মোড়ে বাসিন্দাদের মুখে মাস্ক বেঁধে দেন উদ্যোক্তারা। মাস্ক পেতে খুশি সকলেই।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস Update: দেশে আক্রান্ত বেড়ে ১০৮, বিশ্বজুড়ে মৃত বেড়ে ৬০৩৬
দুহাজারেরও বেশি বাসিন্দা মাস্ক সংগ্রহ করতে এগিয়ে আসেন। উদ্যোক্তারা বলছেন, উন্নত মানের এন 95-মাস্ক আমাদের সংগ্রহে নেই। সাধারণ মানের কাপড়ের মাস্কই দিচ্ছি আমরা। তা নিয়মিত ব্যবহার করলে করোনা ভাইরাস-সহ অনেক রোগই ঠেকানো সম্ভব সেকথাই বলছি আমরা। টোটো চালক, সবজি বিক্রেতা সহ অনেক পেশার বাসিন্দাদের রাস্তায় দিন কাটে। এই মাস্ক সংগ্রহ করার উৎসাহ তাদের মধ্যেই বেশি ধরা পড়েছে। সাধারণ বাসিন্দাদেরও অনেকেই মাস্ক মুখে বেঁধে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়াও এখন কি কি সাবধানতা নেওয়া জরুরি তা বোঝানো হচ্ছে বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: বারান্দা-জানলা থেকে করোনা-ভয়কে জয় করার মন্ত্র, জীবনমুখী সুরে মুখরিত ইতালি
করোনা ভাইরাস রুখতে পারে মাস্ক। আক্রান্তদের থেকে সংক্রমণ এড়াতে তাই মাস্ক ব্যবহার খুবই প্রয়োজন। বাসিন্দাদের মধ্যে এই সচেতনতা গড়ে তুলতে নেমেছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। বর্ধমানে সেই সচেতনতা কিছুটা হলেও গড়ে তোলা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বর্ধমান স্টেশনের ভিড়ে দেখা গেল, সকলের মুখেই মাস্ক। প্রত্যেকেই যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, তার জন্য করোনা সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি বিনামূল্যে মাস্কও দেওয়া হয়েছে।
(আপনার আশপাশের পরিবর্তনের অংশ হতে চান? আমাদের খবর পাঠান ইমেল্ ও হোয়াটআপের মাধ্যমে)