নয়াদিল্লি: বিরোধীরা তো বটেই, প্রবল অসন্তুষ্ট হয়েছিল বিজেপির স্থানীয় নেতারাও। তাদের চাপের জেরে কাশ্মীর নীতি নিয়ে পিছু হটল কেন্দ্র। বিতর্কিত নির্দেশিকায় আনা হল সংশোধন।
আরও পড়ুন: মড়ক লেগেছে মার্কিন মুলুক! ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দেড় হাজার প্রাণ নিল করোনাভাইরাস
এর আগে ১ এপ্রিল বিতর্কিত যে নির্দেশিকা ঘোষণা করা হয়, তাতে বলা হয় কেবল মাত্র জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ও পিওনের মতো পদগুলি জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি পদগুলির জন্য কোনো সংরক্ষণ নেই। দেশের যে কোনো নাগরিকই সেই সমস্ত পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করে আরএসএসও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও বলে।
এই বিজ্ঞপ্তিকে অপমানজনক বলে অভিহিত করেছিলেন ওমর আবদুল্লা। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টির আলতাফ বুখারি এটা মানুষকে ঠকানোর প্রচেষ্টা হিসাবে মনে করেছিলেন। বিরোধীদের চাপ তাও কেন্দ্র এড়িয়ে যেতেই পারত, কিন্তু দলের অন্দর থেকেই যখন চাপ দেওয়া শুরু হল, তখন সেটা আর এড়ানো গেল না। ফলে চাপের মুখেই শুক্রবার গভীর রাতে কাশ্মীর নিয়ে নীতি বদলে ফেলল তারা।
আরও পড়ুন: করোনার নজর থেকে সুরক্ষিত বিশ্বের মাত্র ১৮টি দেশ! জেনে নিন বিস্তারিত
সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীরে গত ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন এমন যে কেউ এখানকার সবরকম সরকারি চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা না হলে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না বলেও সংশোধনীতে বলা হয়েছে।তবে কারা ডোমিসাইল অর্থাত্ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ভূমিপুত্র, সেই সংজ্ঞা বদলায়নি কেন্দ্র। ১৫ বছর ওখানে যারা আছে, তাদেরই স্থানীয় বলে গণ্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী যারা দশ বছর ওখানে কর্মরত, তারা ও তাদের ছেলে-মেয়েদেরও ডোমিসাইল হিসাবে গণ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৫ অগস্ট, কেন্দ্র ৩৭০ ধারা লুপ্ত করে। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে দ্বিখণ্ডিত করা হয়। এর ফলেই প্রয়োজন পড়েছিল নয়া ডোমিসাইল নীতি বানানোর।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার, মৃত্যু বেড়ে ৬৮