Did Bidisha Dey Majumder blame her career for her death in her suicide note

Bidisha Death Mystry: মৃত্যুর কারণ ক্যানসার নাকি কেরিয়ার, বিদিশার সুইসাইড নোট ঘিরেও বিভ্রান্তি

গ্ল্যামারের হাতছানি। ফের ঝকঝকে, চাকচিক্য জীবনযাপনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার মনোজগতের উদাহরণ। পল্লবী দে’র পর এবার কলকাতার উঠতি মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের রহস্যমুত্যু। একইভাবেই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে বিদিশার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র? ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে এক সুইসাইড নোট।

দমদমের নাগেরবাজার এলাকার রামগড় কলোনিতে ফ্ল্যাট নিয়ে ভাড়া থাকতেন বিদিশা দে মজুমদার। প্রসঙ্গত, তাঁর বান্ধবী একাধিকবার ফোন করেও পাচ্ছিলেন না। এরপর বাড়িওয়ালাকে জানাতেই, তিনিই গিয়ে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ সেই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধারকরে তাঁর সুইসাইড নোট। যেখানে স্পষ্ট লেখা- “এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলাম।” যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মডেল-অভিনেত্রীর বান্ধবীরা। তাঁদের কথায়, বিদিশার যো কোনও দুরারোগ্য অসুখ ছিল, সেটা কখনোই জানাননি।

আরও পড়ুন: Cannes 2022: লাল, ল্যাভেন্ডার, সোনালি গাউনে কান চলচ্চিত্র উৎসবে উষ্ণতা ছড়ালেন হিনা খান! মুগ্ধ অনুগামীরা

এই সুইসাইড নোট থেকেও নাকি ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। কেউ বলছেন কেরিয়ারের চিন্তাই গিলে খেল বিদিশাকে। কেউ বা বলছেন ক্যানসার! কোনটা ঠিক? এক বন্ধুর কথায়, কোনওটিই ঠিক নয়। বিদিশা লো-প্রেশারের রোগী ছিলেন। কাজের চাপে, শরীর ছিপছিপে রাখার তাগিদে অনেক সময়েই পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া করে উঠতে পারতেন না। ফলে, প্রায়ই নাকি মাথা ঘুরত তাঁর। এ ছাড়া, ঋতুস্রাবের সময়েও প্রতি মাসে প্রচণ্ড কষ্ট পেতেন।

বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না। বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এর জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সন্দেহ ছিল, বিদিশার সিস্ট রয়েছে। তাই প্রতি মাসে ঋতুকালীন পরিস্থিতিতে এত কষ্ট পান তিনি। বন্ধুর আরও দাবি, ‘‘ক্যানসার হলে বিদিশা কষ্ট করে কেন মরতে যাবে? চিকিৎসা না করালে এমনিই তো জীবন ফুরিয়ে যেত!’’ তা ছাড়া, চট করে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর মেয়েই নয় বিদিশা, বলছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Bidisha Dey Majumdar: পল্লবীর পর এ বার রহস্যমৃত্যু মডেল বিদিশা দে মজুমদারের, অভিযোগ বয়ফ্রেন্ডের নামে