তৈরি হল নয়া ধন্দ, উঠে এল নয়া প্রশ্ন! মহেশ-রিয়ার ৮ জুনের ব্যক্তিগত চ্যাট প্রকাশ্যে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রথমবার প্রকাশ্যে এল রিয়া চক্রবর্তী এবং মহেশ ভট্টর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। আর একই সঙ্গে তা থেকে বেরিয়ে এল এমন কিছু কথা যা এত দিন অন্তরালেই ছিল। জুন মাসের আট তারিখ সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে আসেন রিয়া চক্রবর্তী। দিনটি ছিল সোমবার। সন্ধে ৭টা ৪৫ নাগাদ ওই দিনই ‘মেন্টর’ মহেশ ভট্টকে মেসেজ করেন রিয়া। মহেশেও রিপ্লাই দেন। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে চলে কথোপকথন। কী কথা হয়েছিল ওঁদের?

ইন্ডিয়া টুডের তরফে মহেশ-রিয়ার এই গোপন মেসেজর হদিশ খুঁজে বার করা হয়েছে। যে মেসেজে স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করবার ইঙ্গিত। এবং এই সম্পর্ক ভেঙে ফেলবার ব্যাপারে রিয়াকে উপদেশ দিয়েছিলেন মহেশ ভাট। কী রয়েছে সেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে? রিয়া লেখেন, ‘আয়শা (জলেবি ছবিতে রিয়ার চরিত্রের নাম) মুভস অন..স্যার, মন ভারাক্রান্ত তবে একটা স্বস্তি’। এরপর রিয়া রিয়া যোগ করেন, ‘আমাদের শেষ (ফোন) কলটা আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। তুমি আমার স্বর্গদূত, তুমি ছিলে,তুমি আছ এবং তুমিই থাকবে’।

আরও পড়ুন: দিলীপ কুমারের পরিবারের বড় ধাক্কা! করোনা যুদ্ধে হেরে গেলেন ভাই আসলাম খান

জবাবে মহেশ ভাট জানান, পিছন ফিরে তাকিও না। সেটাই সম্ভবপর যা অবশ্যম্ভাবী। আমার অনেক ভালোবাসা তোমার বাবাকে। উনি আজ নিশ্চয় একজন খুশি মানুষ’। এর উত্তরে রিয়া লেখেন, অবশেষে একটু সাহস খুঁজে পেলাম, আর সেইদিন তুমি আমার বাবাকে নিয়ে ফোনে যা বলেছিলে সেটা আমাকে শক্ত হতে সাহায্য করেছে আমার বাবার জন্য। উনিও তোমাকে অনেক ভালোবাসা পাঠিয়েছেন, ধন্যবাদ সবসময় এতটা স্পেশ্যাল হওয়ার জন্য।

এরপর সড়ক ২-র পরিচালক লেখেন, ‘তুমি আমার সন্তান।আমার হালকা লাগছে’। এরপর রিয়া মেসেজ করেন, ‘আহ..কোনও শব্দ নেই স্যার। সেটাই সেরা ইমোশন যা আমি তোমার জন্য অনুভব করি’। মহেশ ভাট এরপর লেখেন, ‘তুমি সাহাসী..তার জন্য ধন্যবাদ’। রিয়া এবার লেখেন, ‘তুমি ফের আমার ডানা মেলতে সাহায্য করলে,একই জীবনে দু’বার ঠিক ভগবানের মতো’। অপর একটি মেসেজে রিয়া লেখেন, ‘ধন্যবাদ আমরা ভাগ্যকে যে তোমার সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দিয়েছে। তুমি ঠিক বলেছে, আমাদের দেখা হওয়াটা এই দিনের জন্যই।কোনও ছবির জন্য নয়, খুব স্পেশ্যাল কিছুর জন্য। আপনার প্রত্যেকটা শব্দ আমার কানে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, আমার মনে আপনার নিঃশর্ত ভালোবাসার একটা গভীর প্রভাব কাজ করে’।

এই ঘটনার ঠিক ৬ দিনের মাথায় উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। রিয়া এবং মহেশের চ্যাটে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে খুশি ছিলেন না রিয়ার বাবাও। একই সঙ্গে বেরিয়ে আসছে আরও নানা প্রশ্ন, যার উত্তর এখনও মেলেনি। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর দলটি মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে। জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত।

আরও পড়ুন: অন্তর্বাস থেকে হেয়ারকাট, নেটিজেনদের ট্রোলের নিশানায় স্বস্তিকা, সামাল দিলেন কড়া হাতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest