The News Nest: সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অর্থকষ্টে ভুগছিলেন সুশান্ত। চারিদিকে বাকি ছিল ধার দেনাও— বক্তব্য তাঁর পরিচারকের। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।
ওই পরিচারকের বক্তব্য অনুযায়ী, মৃত্যুর দিন দশেক আগে থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। কারও সঙ্গে সে ভাবে কথাও বলছিলেন না তিনি। পরিচারক আরও যোগ করেন, যেহেতু বাজারে থাকা ধার-বাকি মেটাতে হচ্ছে তাঁকে, তাই এই মুহূর্তে তাঁদের বেতন মেটাতে পারবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন সুশান্ত।
আরও পড়ুন: পরিকল্পিত খুন! সুশান্তের মৃত্যুতে কঙ্গনার কাঠগড়ায় বলিউডের স্বজনপোষণ
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর দিন ভোর সাড়ে ছ’টায় ঘুম থেকে উঠেছিলেন সুশান্ত। এর পর সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ জুস খেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এর পর দরজায় কড়া নাড়া সত্ত্বেও সাড়া পাওয়া যায়নি তাঁর। সাড়া না পেয়ে ফিরে যান পরিচারক। আবার আসেন দুপুরের খাবার নিয়ে। তখনও একই ঘটনা। এবার কু-ডাক ডেকে ওঠে পরিচারকের মনে। বার বার দরজা ধাক্কানোর পরেও অভিনেতা সাড়া না দেওয়ায় তিনি ফোন করেন গুরুগ্রামে থাকা সুশান্তের বোনকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এর পরেই লক ভাঙার মিস্ত্রী ডেকে খোলা হয় সুশান্তের ঘরের দরজা। দরজার ওপারে তখন শিলিং থেকে ঝুলছে তাঁর দেহ!
যদিও মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্তের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে এখনও পর্যন্ত কোনও অস্বাভাবিক লেনদেন চোখে পড়েনি। এমনকি তাঁর বোনও জানিয়েছেন, অর্থকষ্টে ভুগছিলেন না তিনি। সুশান্ত সিং রাজপুতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য খতিয়ে দেখার পর পুলিশ একরকম নিশ্চিত, আর্থিক নয়, অন্য কোনও কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন সুশান্ত৷ এ ক্ষেত্রে সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা৷ রহস্য উন্মোচনে সুশান্তর পরিচিত অনেকের সঙ্গেই কথা বলছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: কাঁদল প্রকৃতিও! বৃষ্টি ভেজা মুম্বই থেকে চির বিদায় নিলেন সুশান্ত, সম্পন্ন শেষকৃত্য