মেহেনাজ পারভিন
সুশান্ত সিং এর আত্মহত্যা! এক সপ্তাহ ধরে খবরের শিরোনামে থেকেছে শুধু এই ঘটনা। বারবার আলোচনায় ফিরে ফিরে আসছে সুশান্তের পুরোন সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতা, অবসাদ, বলিউডের স্বজনপোষণ সংস্কৃতির শিকার হওয়ার প্রসঙ্গ। বিতর্ক উসকে দিয়েছে একের পর এক তারকা-পরিচালকের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।
মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর প্রায় সাত দিন কেটে গিয়েছে। তবু মন মানতে চায়না। বারবার মনে হয় এসব হয়তো মিথ্যে।মনে হয়, আড়ালে লুকিয়ে মজা দেখছেন তিনি। মনে হয়, এটাও বোধহয় কোনো সিনেমা…যার শেষ দৃশ্যে সেই মন ভোলানো মিষ্টি হাসি নিয়ে ফিরে আসবেন তিনি। যা দেখে আবার ঝড় উঠবে তরুণীদের হৃদয়ে। কিন্তু এই সব ভাবনা যে অবাস্তব- তা মন জানে কিন্তু মানতে নারাজ।
পটনা থেকে বলিউড, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে রুপোলি জগতে। মেধাবী ছাত্র, বুদ্ধিদীপ্ত অভিনেতা। ছোট করে বললে এমনটাই ছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জীবন। বলিউডে আজ অব্দি এরকম কোনও কমবয়সি তারকা আসেনি না যে কোয়ান্টাম ফিজিক্স পরে, কবিতা লেখে, অরগ্যানিক ফার্মিংয়ের পাশে থাকে, নাসায় ছোটদের পাঠাতে চায়, মহাকাশচর্চায় ডুবে থাকে, দান করে, একই সঙ্গে যোগা ও আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস রাখে।
জন্ম ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি। ১৬ বছর বয়সে মা-কে হারান সুশান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা শেষ পোস্টটাও ছিল মা-কে নিয়েই। কলেজে পড়তে পড়তে নাটকে অভিনয় করতেন। ক্যামেরার সামনে আসা সিরিয়ালে অভিনয় দিয়ে।
২০১৩ সালে তাঁর বলিউড ডেবিউ। প্রথম ছবি কাই পো চে। ২০১৬ সালে এমএস ধোনির বায়োপিক। তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়োয়। কিন্তু এর পর থেকেই তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী। শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ড্রাইভ। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ করে সেই ছবি। তারা দেখতে ভালবাসতেন সুশান্ত। সমুদ্রঘেষাঁ ফ্ল্যাটে বসিয়েছিলেন শক্তিশালী টেলিস্কোপ। মাত্র ৩৪ বয়সে সেই তারাদের দেশে হারিয়ে গেলেন সুশান্ত।
আরও পড়ুন: ‘চার কদম’ এগিয়ে আকাশ ভর্তি তারাদের দলে কেন এত জলদি মিশে গেলে সুশান্ত ?