ডাক দিচ্ছেন মা ভবতারিণী, শেষের মুখে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’?

গোটা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রায় দীর্ঘ চার বছর ধরে বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের মনোরঞ্জন করেছে পিরিয়ড ড্রামা ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’। তবে টেলিউডে জোর জল্পনা এবার যবনিকা পড়বে এই সিরিয়ালে! এই দীর্ঘ সময় ধরে এই ধারাবাহিক দর্শকদের ভালোবাসাও পেয়েছে অফুরন্ত। ফলস্বরূপ টিআরপি তালিকায় সেরা দশে পাকা জায়গা করে রেখেছে এই সিরিয়াল। কিন্তু ঐতিহাস নির্ভর এই ধারাবাহিকের গল্প এবার ফুরিয়ে এসেছে, সেই কারণেই খুব বেশিদিন টেলিভিশনের পর্দায় পাওয়া যাবে না রানিমা-কে।

ধারাবাহিকের ট্রাক অনুযায়ী সর্বত্যাগী হয়েছেন রানিমা। আর ইতিহাস অনুযায়ী এবার রানিমার মৃত্যুর সময় আগত। তার মাঝেই সামনে এল ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে মা ভবতারিণী রানিমা-কে নিজের কাছে ডাকছেন। তিনি বলছেন- ‘তোর জীবনকাল এবার সমাপ্ত হয়ে আসছে। আমি যে তোর অপেক্ষায় দিন গুনছি’। এর থেকেই পরিষ্কার খুব তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’।

আরও পড়ুন: নদীতে শব ভেসে যাওয়ার ছবি এই দেশের নয়, নাইজেরিয়ার- ‘প্রলাপ’ শুরু কঙ্গনার

যদিও রানিমার মৃত্যু হলেই সিরিয়াল শেষ হবে পাকা নয়, কিন্তু যাঁর নামে এই সিরিয়াল সেই চরিত্র না থাকলে দর্শকদের কাছে সেটি অর্থহীন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে গোটা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরা। লকডাউন শেষে শ্যুটিং শুরু হলে সিরিয়াল আর কতদিন চলবে, বা শেষ টেলিকাস্ট কবে  তা নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

দেবর্ষি রায়চৌধুরী এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কালীঘাট মন্দির প্রসঙ্গ এবং মন্দির প্রতিষ্ঠাতা সন্তোষ রায় চৌধুরীর যে চরিত্র রাসমণিতে দেখানো হয়েছে তাতে ভুল আছে।  পাশাপাশি তিনি আরো অভিযোগ তোলেন, ধারাবাহিকের ১৪৫ নম্বর পর্ব থেকে কিংবদন্তি রায়চৌধুরী পরিবারের দু’টি চরিত্রকে আনা হয়েছে ধারাবাহিকে। পরবর্তী প্রায় বারোটি পর্ব ধরে ওই চরিত্রগুলির মাধ্যমে যা দেখানো হয়েছে, তাতে ভুল থাকার ফলে মানুষ ভুল ইতিহাস জানছে।

দেবর্ষি বাবু জানিয়েছেন, ধারাবাহিকে এমন কিছু দেখানো হয়েছে যা কাল্পনিক এবং বিকৃত ইতিহাস। ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে রায়চৌধুরী নিজে রাসমণির শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাঁকে কালীঘাটের মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অথচ ইতিহাস অনুযায়ী, রাসমণির বিয়ে হয় ১৮০৪ সাল নাগাদ। তার ৫ বছর আগেই পরলোক গমণ করেন সন্তোষ। মন্দিরের সম্পূর্ণ হওয়াটা দেখে যেতে পারেননি প্রতিষ্ঠাতা। পরে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করেন তাঁর নাতি রাজীবলোচন রায়চৌধুরী। এই পুরো হিসেবটাই ধারাবাহিকের টাইমলাইনে ভুল দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সর্বজয়া’ হয়ে মেগাতে ফিরছেন দেবশ্রী, আবার একটা ‘শ্রীময়ী’! কটাক্ষ নেটিজেনদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest