টানা তিনবার বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের শিরোপা জিতল ফিনল্যাণ্ড, ভারত ১৪৪

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: গোটা বিশ্ব জুড়ে মহামারীর আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের মানুষ এই রোগের ভয়ে তটস্থ এরই মাঝে টানা তিনবারের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের শিরোপা জিতল ফিনল্যান্ড। আর ১৫৬টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১৪৪ নম্বরে।

আরও পড়ুন: World Poetry Day 2020: করোনা আতঙ্ক ভুলিয়ে দিল কবিতার দিন

এই হাপিনেস ইন্ডেক্স সম্প্রতি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। প্রত্যেক দেশের হ্যাপিনেস লেভেল জিডিপি সামাজিক সাপোর্ট ব্যক্তি-স্বাধীনতা প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়।  বিশ্বের সবথেকে খুশির দেশ হল ফিনল্যাণ্ড।করোনা সেখানকার বাতাসেও আতঙ্ক মিশিয়েছে। তবে সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ প্রশাসনের কাজে সন্তুষ্ট। তাদের ধারণা সরকার যে করবে তাতে ভালোই হবে। আহারে ! আমরাও যদি এমনতর ভরসা রাখতে পারতাম।তাহলে বিশ্বজুড়ে দুঃখী দেশগুলোর মধ্যে আমাদের জায়গা হতো না। যে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কেবল কেন্দীয় সিদ্ধান্তে ভিটে-মাটি হারানোর আতঙ্ককে আত্মঘাতী হচ্ছে। যেখানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে একবার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে একবার ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা এখানে রয়েছেন তারাও ভয়ে অস্থির, দেশের মানুষকে বিদেশী কখনওবা সন্ত্রাসবাদী বানানোর খেলা চলছে- তাতে কি খুশি থাকা যায়? গরিব মানুষ সাংঘাতিক আতঙ্কে।রাজধানীর বুকে দাঙ্গার প্রচারে গণহত্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিদেশী মিডিয়ারও। তাই করোনা এখানে আলাদা করে তেমন ভয় দেখতে পারছেনা।

F8440F4D 740F 4473 AA55BD209967097F source

 

ভারত কিন্তু এই সুখী তালিকায় বেশ নিচের দিকে রয়েছে এমনকি নাইজেরিয়ার থেকেও পিছনে। এর কারণ হিসেবে রিপোর্টে ভারতের শহর ও গ্রামের মধ্যে আর্থিক বৈষম্যকে তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের শহরগুলোতে যে সকল মানুষেরা থাকেন তাদের থেকে যারা শহরতলীতে থাকেন তারা বেশি সুখী। 

আরও পড়ুন: World Happiness Day 2020: করোনা আতঙ্কে ম্লান গোটা বিশ্বের হাসি

আসলে খুশি কেবল নিজের মনের বিষয় নয়। এখানে পারিপার্শিকতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার প্রেসিডেন্ট করোনা আতঙ্কে যেভাবে সেদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে ভরসা হয় বৈকি। তবে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাষণে ভরসার থেকে আতঙ্কই বেশি। তাঁর ভাষণের পর আতঙ্ক আরও বাড়ল জনমানসে। দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের কথা বলে তিনি লকডাউন হতে পারে এই সম্ভাবনার কথা আলগোছে জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে দোকানে- বাজারে জমেছে ভিড়। বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয়ও জিনিসের দাম।

Gmail 5

 

 

 

 

আসলে যেখানে রাষ্ট্র তার দেশবাসীকে এখনও অসহায় প্রজা মনে করে সেখানে খুশির দিন শুরু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।খুশি থাকে ফিনল্যাণ্ড,ডেনমার্ক,নরওয়ে। আমরা না হয় ওদের পানে চেয়ে চেয়ে খুশি থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাব।

 

 

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest