আজ ১৯ নভেম্বর ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর জন্মদিন। ১৯১৭ তে এলাহবাদে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।নেহেরু পরিবার সবসময়ই জড়িত ছিল রাজনীতিতে৷ যার কারণে ছোটবেলা থেকেই বাপ-দাদার রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়েন ইন্দিরা গান্ধী৷
১৯৩৬ সালে ইন্দিরার মা কমলা নেহেরু পরলোক গমন করেন৷ ইন্দিরা হয়ে পড়েন ভীষণভাবে একা৷ ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময়ই ইন্দিরার পরিচয় হয় ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে৷ ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন৷ ১৯৪২ সালে তিনি বিয়ে করেন সাংবাদিক ফিরোজ গান্ধীকে৷
আরও পড়ুন: টেনিস কোর্ট থেকে বিরতি! এ বার ওয়েব সিরিজে সানিয়া মির্জা
১৯৪১ সালে অক্সফোর্ড থেকে ফিরে এসে ইন্দিরা গান্ধী বাবার সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সাল থেকে জওহরলাল নেহেরুর অফিস সহকারীর কাজ করে আসছিলেন। ১৯৬৪ সালের জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ করেন । তখন ইন্দিরা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রীসভায় তথ্য ও প্রচার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর হঠাৎ মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দেখে নিন ইন্দিরা গান্ধীর কিছু অমর বাণী
- দুই ধরণের মানুষ থাকেন,একদল কাজ করেন,অন্যদল কেবল কৃতিত্ব নেন। প্রথম দলে থাকার চেষ্টা করুন। তাতে প্রতিযোগিতা কম।
- ক্ষমা সাহসী মানুষদের গুন।
- আমার বাবা ছিলেন রাষ্ট্রনায়ক, আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
- আমি মূলত অলস, কিন্তু আমি যখন কাজের ভার নিলাম তখন আমি গৃহবধূদের মানসিকতা গ্রহণ করলাম
- ভারতের কোনও রাজনীতিবিদের প্রকাশ্য জনসভায় একথা বলার সাহস নেই যে, গরুও খাওয়া যেতে পারে।
- মানুষ তার কর্তব্য ভুলে যেতে চায়, কিন্তু অধিকার বুঝে নিতে চায়।
- প্রশ্ন করার ক্ষমতায় হল মানব প্রগতির মূল ভিত্তি
- দেশের সেবা করতে গিয়ে যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে আমি গর্বিত হব। আমাদের শরীরের প্রতিটি রক্তকণা এদেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে এবং এই দেশকে শক্তিশালী ও গতিশীল করে তুলবে।
- টাকা না নিয়ে যে মন্ত্রীরা কাজ করেনা, তাদের সম্পর্কে সাবধান হতে হবে এবং টাকার বদলে যারা সবকিছু করতে পারে তাদের সম্পর্কেও সাবধান হতে হবে।
আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্ত শুরু করতে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক, রায় দিল শীর্ষ আদালত