প্রস্তুতকারক ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলমোট ১৭৭ কোটি টাকা। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের দল গতকাল অভিযান চালায় অখিলেশ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সম্প্রতি পীযূষ জৈন বাজারে এনেছিলেন ‘সমাজবাদী পারফিউম’। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে করফাঁকির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। আর সেই অভিযানে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস।
কানপুরের আয়কর বিভাগ যে ছবি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আধিকারিকেরা মাটিতে নোটের স্তূপের মধ্যে বসে মেশিনের সাহায্যে টাকা গুনছেন। অন্য ছবিতে দেখা যায়, পীযূষের বাড়ির আলমারি ভর্তি টাকা। যে নোট রাখা হয়েছে ছোটছোট বাক্সে। হলুদ টেপ দিয়ে যে বাক্সের মুখ বন্ধ করা। আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকার নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে গণনা সম্পূর্ণ হয়নি।
100+ करोड़ कैश मिला है समाजवादी परफ्यूम लॉन्च करने वाले व्यापारी के घर से। pic.twitter.com/6zo0odVLur
— Prashant Umrao (@ippatel) December 23, 2021
আরও পড়ুন: রুলবুক ছুড়ে ফেলার অভিযোগ, রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড ডেরেক
জৈনের বাড়ি ছাড়াও তাঁর কারখানা, দফতর, কোল্ডস্টোর, পেট্রোল পাম্পে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কানপুর ছাড়াও মুম্বইতে পীযূষ জৈনের বাসভবনে ব্যাপক তল্লাশি চলে। এই নামী ব্যবসায়ী বর্তমানে কানপুরের বাসিন্দা হলেও, তাঁর একটি কারখানা , কোল্ড স্টোর ও পেট্রোল পাম্প রয়েছে কনৌজে। সেখানেও চলে তল্লাশি। জানা যায়, কানপুরে বসবাসের আগে কনৌজে বহুদিন থেকেছেন এই ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর পীযূষ জৈনের নামে ৪০টি সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে ২টি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে। তদন্তকারী দল সূত্রের খবর ভুয়ো সংস্থার নাম দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ী প্রচুর টাকার করফাঁকি দিতেন।
#WATCH | As per Central Board of Indirect Taxes and Customs chairman Vivek Johri, about Rs 150 crores have been seized in the raid, counting still underway.
Visuals from businessman Piyush Jain's residence in Kanpur. pic.twitter.com/u7aBTJhGxW
— ANI (@ANI) December 24, 2021
প্রসঙ্গত, পীযূষ জৈন নামের ওই ব্যক্তি মূলত সুগন্ধীর ব্যবসায়ী। এছাড়াও তাঁর কোল্ড স্টোর, একাধিক পেট্রল পাম্প এবং একাধিক গুটকা তৈরির কারখানাও আছে। বেনামি সম্পত্তি, ভুয়ো ইনভয়েস দিয়ে জিনিস পাঠানো, ই-ওয়ে বিল ছাড়া জিনিস পাঠানো এবং হিসাব বহির্ভূত টাকা রাখার মতো অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জয় শ্রীরাম বলে চার্চে ব্যাপক ভাঙচুর, ‘গোলি মারো’ স্লোগান, আগ্রাতে পুড়ল সান্তার কুশপুতুলে