মথুরার (Mathura) এক ধোসা বিক্রেতা দোকানের নাম রেখেছিলেন ‘শ্রীনাথ ধোসা সেন্টার’। আর সেই কারণেই তাঁর দোকানে ভাঙচুর করল এক দল দুষ্কৃতী। তাদের অভিযোগ, কেন হিন্দু দেবতার নামে দোকানের নামকরণ করা হয়েছে। ভাঙচুরের ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অবশেষে পদক্ষেপ করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। দোকানের নামও বদলে ‘আমেরিকান ধোসা সেন্টার’ করে দিয়েছেন দোকানদার।
মথুরার ওই দোসা বিক্রেতার নাম ইরফান। বিকাশ বাজার এলাকায় একটি স্টলে দোসা বিক্রি করেন তিনি। ১৮ অগস্ট তাঁর দোকানে আসে এক দল লোক। তাঁরাই দোকানে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দোকানের নাম দেখে হিন্দুরা ভুল করে এই স্টলে খায়।’’ অপর এক জন দোসা বিক্রেতাকে বলছেন, ‘‘তুমি কেন দোকানের নাম মুসলিম নামে রাখোনি?’’ নিজেদের ‘কৃষ্ণভক্ত’ হিসাবে পরিচয় দিয়ে তাঁদের মুখে মথুরাকে ‘শোধন’ করার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে ওই ভিডিয়োয়।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীর ছবি নয়, টিকার শংসাপত্রে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানো উচিত, কড়া আক্রমণ মমতার
এই ঘটনা নিয়ে শনিবার মামলা দায়ের করেছে মথুরার কোতয়ালি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে সেখানকার পুলিশ সুপার মার্তণ্ডপ্রকাশ সিংহ বলেছেন, ‘‘আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কোতোয়ালি ইন্সপেক্টর সূর্যপ্রকাশ শর্মা জানিয়েছেন, ”মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্ত চকবাজার এাকার বাসিন্দা। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে।” শ্রীকান্তকে জেরার করার পরই সে তার সঙ্গীদের নামও বলে দিয়েছে। তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দোকানের ভাঙচুরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে এফআইআর দায়ের হয় অভিযুক্তদের নামে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্যান্টের কাপড়ের ভাঁজে সোনাপাচারের নয়া কৌশল, বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেলেন যাত্রী