ঝাঁসি: ফের ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের মরদেহ। ট্রেনের জীবাণুনাশের কাজে নেমে শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করেন রেলের সাফাই কর্মীরা। মৃত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি (Jhansi) রেল স্টেশনে ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ! বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনের জীবাণুনাশের কাজে গেলে শ্রমিকের নিথর দেহ নজরে পড়ে রেলের সাফাই কর্মীদের। তৎখনাত তাঁরা স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ানো নিয়ে কী মত? মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শাহের কথা…
ঘটনার তদন্তে নেমে রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, মৃত ব্যক্তির নাম মোহনলাল শর্মা (Mohan lal Sharma) । তিনি মুম্বইতে দিন মজুরের কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের মত কাজ হারিয়ে তিনিও বেকারত্বের কবলে পড়েন। এরপরই বাড়ি ফিরতে চান।
২৩ মে মোহন লাল বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে ঝাঁসি পৌঁছন। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের গোরক্ষপুর স্টেশনে পাঠানো হয়। মোহন লাল উত্তরপ্রদেশের বস্তি (Basti) জেলার বাসিন্দা বলেও খবর মেলে।
ময়নাতদন্তে নেমে ঝাঁসির পুলিশ জানান, “বেশ কয়েকদিন আগেই মারা যান মোহন লাল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তাঁর পরিবারের হাতে ব্যক্তির দেহ তুলে দেওয়া হবে। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা তা জানা প্রয়োজন। গত দু’মাসে ২০ লক্ষ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে ফিরেছেন। আরও কয়েক লক্ষ আগামী কিছু দিনের মধ্যেই ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মোহনলালের আত্মীয় কানহাইয়া লাল শর্মা জানান, “ঝাঁসি পুলিশ গ্রামের মুখিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি মোহনলালের সঙ্গে ২৮ হাজার টাকা ছিল। সেই সঙ্গে সাবান ও কিছু বইও ছিল। কাজ না থাকায় বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই আমাদের ওঁর দেহ নিয়ে নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন বলে জানায়।
তবে মুম্বই থেকে রওনা দেওয়ার পর মোহন লালের আসা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন বিহারে গিয়েছিল কিনা বা গোরক্ষপুর পৌঁছেছিল কিনা সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার ট্রেন ঝাঁসি পৌঁছয়। এরপরই রেলকর্মীরা শ্রমিকের নিথর দেহ দেখে চমকে ওঠেন।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই লিটারে ৪-৫ টাকা বাড়তে পারে পেট্রল-ডিজেলের দাম!