US monitoring rising human rights violations in India says Anthony Blinken

‘ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বাড়ছে!’ মোদী-বাইডেন বৈঠকের পরই অস্বস্তির বার্তা আমেরিকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভারতের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর নজর রাখছে আমেরিকা। ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নজিরবিহীন ভাবে নয়াদিল্লীকে বার্তা দিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগে সরাসরি আমেরিকার তরফে ভারতকে বার্তা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আমাদের ভারতীয় পার্টনারদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করছি। মূল্যবোধের (মানবাধিকারের) সাথে জড়িত কিছু দিক লঙ্ঘন করছে কিছু সরকার, পুলিশ এবং কারাগারের কর্মকর্তারা। এই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে।’

এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য ইলহান ওমার প্রশ্ন তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উপর। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘মোদী সরকার মুসলিমদের উপর আর কি করলে আমরা তাদের আমাদের পার্টনার ভাবা বন্ধ করব।’ এই মন্তব্যের এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্লিনকেনের এই মন্তব্য। যদিও এই বিষয়ে বিশদে আর কিছুই বলেননি ব্লিনকেন। উল্লেখ্য, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক শুরু হয়েছে গতকাল থেকে।

আরও পড়ুন: Yogi Adityanath: যোগীর টুইটার হ্যাক, গরু -বাঁদরের ছবি গুঁজে দিল হ্যাকাররা

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে কর্ণাটকে হিজাব থেকে শুরু করে হালাল মাংস নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আবার মন্দিরের বাইরে মুসলিম দোকানদের নিয়েও ঝামেলা শুরু হয়েছে। বিজেপি এই সব ঝামেলার সাথে সরাসরি জড়িত না থাকলেও ডানপন্থী সংগঠনগুলির কর্মকাণ্ডে বিজেপির ‘সমর্থন’ নিয়ে সরব বিরোধীরা। এই আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার মতো পার্টনারের কাছে এই বিষয়ে শুনতে হল মোদী সরকারকে। যদিও কূটনৈতিক কারণে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলেননি মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট।

সোমবারই প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে আরও বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রসঙ্গও এসেছে। সেখানে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপ এক সন্ধ্যায় রাশিয়া থেকে যত তেল আমদানি করে, ভারত সারা মাসেও সেই পরিমাণ আমদানি করে না। তাই আমেরিকার উচিত ইউরোপের দিকে তাকানো।

আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারের সভায় বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest