প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ আর মাত্র ৮ দিন। কিন্তু সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপিটলে হামলার জেরে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়ছেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। আগামিকাল বৃহস্পতিবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হবে আমেরিকান কংগ্রেসে। ঘটনাক্রমে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির ৫ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে। ফলে পাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব।
শুধু ডেমোক্র্যাটরাই নয়, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন একাধিক রিপাবলিকান নেতাও। তাই মেয়াদের ৮ দিন আগে ট্রাম্পকে হঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবনায় ভোটাভুটি হবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে। হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ডেমোক্র্যাটদের, তাই সহজেই সেখানে পাস হয়ে যাবে ইমপিচমেন্ট বিল। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। হাউসের পর সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেলে তবেই মার্কিন সংবিধানের ২৫-তম সংশোধন প্রয়োগ করে ইমপিচ করা যাবে ট্রাম্পকে।
জো বাইডেন শপথ নিলে সেনেটের প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস, তখন সেনেটেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে ডেমোক্র্যাটদের। তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট বিল এখনই সেনেটে পাস হতে পারবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ থেকে যে রিপাবলিকান দল বেরোতে শুরু করেছে তার প্রমাণ মিলেছে একাধিক রিপাবলিকান নেতার বক্তব্যেই। শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যার মাধ্যমে জিইয়ে থাকছে ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা।
এর মাঝেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি আপডেট বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে লেখা রয়েছে এবং তাঁদের পদত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Republic Day 2021: মুক্তিযুদ্ধের স্বর্ণজয়ন্তী, দিল্লিতে প্রথমবার প্যারেড বাংলাদেশ সেনার