দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে সায়ন্তনের পর বিজেপি শো-কজ করল অগ্নিমিত্রাকেও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সায়ন্তন বসুদের পর এ বার অগ্নিমিত্রা পাল। রাজ্যে দলের মহিলা মোর্চার সভাপতিকেও এ বার শো-কজ নোটিস ধরাল বিজেপি।এবারেও কারণ উল্লেখ নেই চিঠিতে। তবে বিজেপি অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দলবিরোধী মন্তব্যের কারণে এই শো কজ।

সম্প্রতি জিতেন তিওয়ারি বিজেপিতে যোগ দিতে পা বাড়ালে দলের অন্দরে অনেকেই রুষ্ট হন। তাঁকে যে মেনে নেওয়া যাবে না এই বার্তা গণমাধ্যমের সামনে কবুল করে ফেলেন অগ্নিমিত্রা, সায়ন্তনরা।

সূত্রের খবর, সেই কারণেই কূপিত দল তাঁদের ৭ দিনের মেয়াদে জানাতে বলেছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দলবিরোধী মন্তব্যের পরেও কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না দল। জানানো হয়েছে তাঁদের এই মতপ্রকাশ দলের ২৫D নং ধারায় নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

আরও পড়ুন: গরিব মানুষের ‘মন কি বাত’ শোনেননি শাহ, একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসুদেব বাউল

অগ্নিমিত্রাকে শো-কজটি ধরিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও শো-কজের একটি কপি পাঠানো হয়েছে।প্রসঙ্গত অগ্নিমিত্রা এবং সায়ন্তনের চিঠিটি একই দিনে তৈরি করা। বয়ানও প্রায় হুবহু এক। দুজনের চিঠিতেই বলা আছে, দিলীপ ঘোষের নির্দেশে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

সায়ন্তন এবং অগ্নিমিত্রাকে শো কজ করে আসলে ‘ঝিকে মেরে বউকে শিক্ষা’ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা। পুরোনো বিজেপি কর্মীরা অনেকেই বলছেন, এবার আদি বিজেপি কর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। ‘দাগি’ তৃণমূলী নেতারা যত বিজেপির জার্সি গায়ে লম্ফো-ঝম্প করবে তত সায়ন্তনরা শোকজ খাবে। রাহুল সিনহার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। মনে রাখবেন জয় শাহকে বিসিসিআইয়ের মাথায় বসিয়ে ‘ভাইপোর’ বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে বাংলার মানুষ তা গ্রহণ করবে না।

যারা সত্যিই বিজেপিটা ভালোবেসে করত, এবার তাদের ভেবে দেখার সময় এসে গিয়েছে। পুরনো বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য হল, তাহলে এতদিন আরএসএস কি একটা নেতাও জন্ম দিতে পারেনি? সব নেতাই যদি তৃণমূল থেকে আমদানি করতে হয়, তাহলে বিজেপি নামক দলটি থাকার প্রয়োজন কোথায় ? কেউ কেউ বলছেন তাহলে তৃণমূলী প্রভাবশালী নেতা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে গেলে কী তাকে বিজেপি বলে সম্বোধন করা যেতে পারে? কারণ তার আশ্রয়স্থল তো বিজেপি শিবিরই হবে। এটি কী স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যেমন এঁচোড় পেকে কাঁঠাল। ডাব থেকে নারকেল। এও কী খানিকটা তেমন ?

অনেকের ধারণা নাড্ডা আসলে নামমাত্র সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি। কেউ কেউ এককাঠি বাড়িয়ে বলছেন, ‘সে তো মোদিও’ ।  আসল ক্ষমতা তো শাহের হাতে। মোদী তো ‘পারফর্মার’। সেই শাহের হাতেই বঙ্গ বিজেপি। উনি নেতা কিনতে জানেন। নেতা বানানো তার কাছে সময় নষ্ট ছাড়া কিছু নয়। এই তো জয় শাহকে বিসিসিআইয়ের মাথায় বসানো হয়েছে। সমস্যা কী! তেমনি মুকুল- শুভেন্দুকে সায়ন্তের মাথায় বসালে সমস্যা কোথায়!

গুজরাটি মডেল আসলে কী তা বোধ করি বঙ্গ বিজেপি বুঝেছে। যারা বোঝেননি, তারা বুঝে নিন। তা না হলে শোকজ চিঠি গ্রহণ করার জন্য তৈরী থাকুন।

আরও পড়ুন: ট্যাব কিনতে টুয়েলভের পড়ুয়াদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে টাকা দেবে সরকার: মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest