আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও ‘নো পরোয়া’, ছটপুজো করতে চেয়ে বিক্ষোভ রবীন্দ্র সরোবরে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ছটপুজো করতে চেয়ে রবীন্দ্র সরোবরে বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন ভক্তেরা। যদিও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। ভক্তদের অবশ্য দাবি, ৪  ঘণ্টার জন্য ছট পুজো করলে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হবে না। তাই তাঁদের যেন অন্তত ৪ ঘণ্টার জন্য পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়।

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না, তা বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বহাল রাখল জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়। রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল  কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ করে জাতীয় পরিবেশ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে কোনও রদবদল করা হচ্ছে না। এই নির্দেশ জানার পরও এদিন সকালে পুজোর উপকরণ নিয়ে একদল পূণ্যার্থী রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকতে যান। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে তা আগে থেকে আঁচ করেই সরোবরের  ১, ২ এবং ৩ নম্বর গেটে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। উত্তেজিত জনতা গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে ভক্তের দল। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি। যদিও সাময়িক উত্তেজনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ।

আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজে মিনিবাসে বিধ্বংসী আগুন

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে ছটপুজোর সময় বন্ধ গেট জোর করে খুলে সরোবরে ঢুকে পড়েছিল বহু মানুষ। সঙ্গে ছিল ঢোলতাসা, বাজনা। ফাটানো হয় দেদার শব্দবাজি। আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেবার মহা  সমারোহে পালিত হয় ছটপুজো। এবারও চিত্রটা যাতে সেদিকে না যায় তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। সুপ্রিম নির্দেশ আসার পরেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেল হয়েছে গোটা রবীন্দ্র সরোবর চত্বর। টিন, বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা সরোবর এলাকা। গাড়ি অথবা লোকজনের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

কলকাতার অন্যতম ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে অনেক আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ১৯২ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত রবীন্দ্র সরোবরে ৭ হাজারেরও বেশি গাছ রয়েছে। সবুজ ঘেরা এই কৃত্রিম হ্রদ ও গাছগাছালি পাখিদের স্বর্গরাজ্য। এর বিশাল ঝিলে বিভিন্ন প্রকারের মাছও রয়েছে। গত বছরও ছটপুজো নিয়ে পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ছটপুজোর দিন বন্ধ গেট জোর করে খুলে সরোবরে ঢুকে পড়ে বহু মানুষ। এই ঘটনাকে ঘিরে মারাত্মক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সরোবরের ভেসে ওঠে মরা মাছ ও  কচ্ছপের দেহ।

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় উদ্ধার সিমেন্টের বস্তায় মোড়া তরুণীর দেহ, তদন্তে হোমিসাইড

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest