এবার কালীপুজোতেও (Kali Puja 2021) করোনা কাঁটা। পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে আদালতের নির্দেশে। কোভিডবিধি মেনে দেবী আরাধনায় চলছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। কালীপুজোর দিন দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকছে মন্দিরের দরজা। বৃহস্পতিবার রাতভর পুজো দেওয়া যাবে দেবী ভবতারিণীকে। তবে মন্দিরের ভিতরে বসে পুজো দেখার ব্যবস্থা থাকছে না। বিধিনিষেধ রয়েছে প্রসাদ বিতরণ এবং পুজো সামগ্রী নিয়ে প্রবেশের উপরও।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে (Dakshineswar temple) পুজো এবছর ১৬৭ তম বছরে পা দিচ্ছে। প্রতি বছরই কালীপুজোর দিন বিভিন্ন জেলা, কলকাতার বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমান সেখানে। কেউ পুজো দেন তো কেউ স্রেফ দেবীদর্শন করেন। মন্দিরের ভিতরে বসে কেউ কেউ পুজো দেখেন। কিন্তু করোনা (Corona Virus) কাঁটায় সেই রীতিতে কিছুটা হলেও বদল এসেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে খোলা থাকবে মন্দির। দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্ধ হয়ে ফের খুলবে তিনটেয়। তার পর থেকে সারা রাত খোলা থাকবে মন্দির। সকাল থেকেই কোভিড বিধি মেনে পুজো দিতে পারবেন দর্শনার্থীরা। স্যানিটাইজ়েশন টানেল পেরিয়ে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তবেই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করা যাবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব-বিধি অনুসরণ করেই পুজো দেওয়ার লাইনে দাঁড়াতে পারবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সারা রাত ধরে পুজো দেওয়ার সুযোগ থাকছে। তবে মন্দির চত্বরে বসে পুজো দেখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, “চিরাচরিত প্রথা মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতির কারণেই বসে পুজো দেখার সুযোগ থাকছে না। এ জন্য আমরা দুঃখিত। তবে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে।” এ বছরও দর্শনার্থীদের প্রসাদ বিতরণ বন্ধ থাকছে। তাঁদের সুবিধার্থে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুরোধ মেনে রাত ১১টা পর্যন্ত চালু থাকবে মেট্রো পরিষেবা।
আজ সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হবে ভবতারিণীর পুজো। দুপুরে পাঁচ রকম মাছ, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ রকমের মিষ্টি দিয়ে অন্ন ভোগ দেওয়া হবে। রাতে তিন প্রহরে হবে ভবতারিণীর পুজো। চলবে স্তোত্রপাঠ। প্রতি বছর কালীপুজোয় বাহারি আলোয় সেজে ওঠে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও প্রাঙ্গণ। এ বার পুজোর আগেই পুরো মন্দির সংস্কার শেষ হয়েছে। পুরনো দিনের স্মৃতি উস্কে দিতে ভবতারিণীর মন্দির-সহ গোটা চত্বর প্রযুক্তির মাধ্যমে সাজবে গ্যাসবাতির আলোয়। কুশলবাবু বলেন, “এ বারের আলো এমন করা হয়েছে, যা দেখে মনে হবে মন্দির জুড়ে গ্যাসবাতি জ্বলছে।”