দল ভাঙানোর যে রাজনীতি মমতা আমদানি করেছিলেন,তার শিকার এবার নিজেই: সুজন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শুভেন্দুর ইস্তফাকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে তিনি বলেন, শুভেন্দুর পদত্যাগ নিয়ে বেশি ভাবিত নয় বামেরা। বরং তারা দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের দিকে চেয়ে রয়েছে।

এদিন সুজন বলেন, ‘দল ভাঙানোর যে নোংরা সংস্কৃতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমদানি করেছিলেন তার বলি কি এবার নিজেই হচ্ছেন? তৃণমূলের উন্নয়নের জোয়ারে সব দলে দলে সেখানে যাচ্ছিল। এখন কি ভাটা এত প্রবল যে দল ছেড়ে আস্তে আস্তে পালাচ্ছে? তৃণমূল যাঁরা তৈরি করেছিলেন তাঁরা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন কেন’?

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত অভিনেতা আলি জাকের, স্মরণ করলেন হাসিনাও

সঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুর পদত্যাগ নিয়ে বেশি ভাবিত নয় বামেরা। বরং দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের দিকে তারা তাকিয়ে রয়েছে। কৃষি আইনের বিরোধিতায় দিল্লিতে ঢুকে পড়েছেন কৃষকরা। মোদীর সঙ্গে তাঁদের মোকালাত হবে।’

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দলে দলে বাম-কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করেন। বামেদের দাবি, কাউকে ভয় দেখিয়ে, কাউকে প্রলোভন দিয়ে দলবদল করানো হয়।

এই অসুস্থতা ডানপন্থী দলগুলিতে বহু দিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু যখন একজন বামপন্থী তার নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কট্টর ডানপন্থী দলে ভিড়ে যান,সেটা উদ্বেগের বিষয়। তাতে আসলে রাজনৌতিক ও সামাজিক মূল্যহীনতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। তখন কেবল ডানপন্থী দলগুলিকে বাপান্ত করে ডে এড়ানো যায় না। এমনটা মনে করেন চিন্তাশীল বহু বাম নেতা।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদও ছেড়েছেন তিনি। গতকাল HRBC-র সভাপতির পদে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর পদত্যাগের জল্পনা। তবে বিধায়ক পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এখনো ছাড়েননি তিনি।

আরও পড়ুন: ISL 2020: ব্যর্থ লাল-হলুদ রক্ষণ, ২-০ গোলে ডার্বি জিতল মোহনবাগান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest