আগামী দিনে গোটা রাজ্যে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন হবে। বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কবে থেকে তা বাস্তবায়িত হবে তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, তৃণমূলের গত ১০ বছরের জমানায় রাজ্যে নিত্যনতুন নানা দিবস পালন হয়ে থাকে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ‘খেলা হবে’ দিবস।
আরও পড়ুন : ভুয়ো আধিকারিক সনাতনের কাছে বিজেপি-র সদস্যপদের রশিদ !
নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে সাড়া পড়েছিল গোটা বাংলায়। এবার সেই খেলা হবে স্লোগানকে ঘিরে দিবস পালন উদ্যোগের ঘোষণায় সাড়া পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’ ৷ যা রাজনীতির ময়দানে গত কয়েকমাসে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে ৷ এই স্লোগান সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে ৷ তাই এবার পশ্চিমবঙ্গে পালিত হবে খেলা হবে দিবস ৷গত শুক্রবার বিধানসভায় শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন ৷ মঙ্গলবার ছিল অধিবেশনের তৃতীয়দিন ৷ সেখানেই এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, খেলা হবে স্লোগান সফল হয়েছে ৷ তাই এই স্লোগানকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে ৷ ওই দিনে 50 হাজার ফুটবল দেওয়া হবে ক্লাবগুলিকে ৷ তবে কবে এই খেলা হবে দিবস পালন করা হবে, তা অবশ্য জানাননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ পরে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি ৷
ভোট আবহে যে খেলা হবে স্লোগানের শুরু হয়েছিল, এখনও তা চলছে। তবে শব্দে নয়, কাজে। বিজেপি এবং টিএমসি দুই দলই পরস্পরকে প্যাঁচে ফেলছে অনবরত। একথা ঠিক যে আঞ্চলিক দল হয়ে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে যে ফাইটটা দিচ্ছে তা তৃণমূলকে জাতীয় রাজনীতিতে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছে। বিজেপি জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে দেশজুড়ে বিভাজনের বাতাবরণ তৈরী করতে একপ্রকার সফল হলেও, বাংলার ‘খেলা হবে’ স্লোগানের কাছে তারা ধরাশায়ী হয়। আপামর বঙ্গবাসী এই স্লোগানকে আপন করে নিয়েছিলেন। তাই এই খেলা হবে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে চাইলেন মমতা।
আরও পড়ুন : বিধানসভায় বিজেপির ওয়াক আউট , নাম না করেই ‘ল্যাজ ছাড়া হনু’ বলে বিরোধীদের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর