সব জল্পনা-কল্পনার অবসান। অবশেষে বিজেপি-তে দায়িত্ব পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shovan Cahtterjee)। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
রবিবার বিজেপি তাঁকে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক (Observer) পদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সঙ্গে দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)-ও। তাঁকে কলকাতা জোনের সহ-আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতা জোনে রয়েছে ৭টি লোকসভা কেন্দ্র। সেগুলি হল কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, ব্যারাকপুর, দমদম, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর এবং জয়নগর।
২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ইস্তক শোভন-বৈশাখী কোনও দলীয় কর্মসূচিতেই অংশ নেননি। তবে মাসকয়েক আগে বিজেপির রাজ্য কমিটির যে তালিকা প্রকাশ হয় সেখানে দুজনেরই নাম ছিল। তখনই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তাঁরা ক্রমশ এবার দায়িত্বও পেতে চলেছেন। মনেও করা হচ্ছিল যে ভোটের আগে বড় কোনও পদ তিনি পেতে পারেন। তবে গোটা কলকাতা শহরের দায়িত্বই যে শোভন পেয়ে যাবেন, তা অনেকেই আশা করেননি।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী : ‘ধর্মান্ধদের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘দাদা’ অমর্ত্যর পাশে ‘বোন’ মমতা
সূত্রের খবর, আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। অমিত শাহের সঙ্গে বৈশাখী-শোভন সাক্ষাতের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, “নির্বাচনে যাতে সফল হওয়া যায় তাই দায়িত্ব দেওয়া হল শোভনদাকে। দীর্ঘদিন শোভনদা ২৪ পরগনা , কলকাতাতে কাজ করেছেন। বৈশাখীও অনেকদিন দলের সঙ্গে আছেন। ফলে তাঁকেও দায়িত্ব দেওয়া হল।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শোভনকে এই সিদ্ধান্ত অনেক ভেবে চিন্তেই দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। প্রথমত, মেয়র থাকার সৌজন্যে তিনি হাতের তালুর মতো কলকাতাকে চেনেন। দ্বিতীয়ত, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় শোভনের রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই বেশি। এবং সেখানেই বিজেপি অনেকটা দুর্বল। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এবার দক্ষিণ কলকাতার ভোটের দিকেও নজর দিতে চাইছে বিজেপি।
কলকাতায় সাংগঠনিক বদলের পাশাপাশি একাধিক জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষকদের রদবদল করা হয়েছে এদিন। একই সঙ্গে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একাধিক জেলায় নতুন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে অজিত দাসকে। সংগঠনকে আরও সংঘবদ্ধ করতে বিজেপির যুব, মহিলা-সহ সকল মোর্চায় একজন করে পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন: রবিবার বিকেলে রাজভবনে হাজির মহারাজ, কী নিয়ে কথা? রহস্য কাটল না