নেতাজির জন্মদিনে ভিক্তোরিয়ার সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন তাঁর ভক্তরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর সামনেই মনে করিয়ে দেন, এটি সরকারি অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক নয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি কথাও উচ্চারণ করেনি।
‘প্রশ্রয় দেওয়া’ এই অসভ্যতার প্রতিবাদ স্বরূপ মমতা নীরবতা অবলম্বন করেন। কিন্তু সৌজন্যতা সহকারে তিনি বসেছিলেন। এটা কেবল মমতার অপমান নয়। এটা নেতাজির অপমান। বাংলার সংস্কৃতির অপমান। তা বুঝেছে বাঙালি। ফলে বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে।
এই পরিকল্পিত স্লোগানের নাটের গুরু কে বা কারা তা নিয়ে খোঁজ শুরু করে বিজেপি।ময়নাতদন্তে জানা যায়, ‘যুবমোর্চার দুই নেতা সৌমিত্র খাঁ এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা ছিলেন এর পিছনে। দু’জনেই প্রাক্তন তৃণমূলী। ওই ঘটনায় সামগ্রিক ভাবে দলের ক্ষতিই হয়েছে। ঘটনার দিনই দলের একাধিক নেতা দলের অন্দরে জানিয়েছিলেন, কিছু নেতা-কর্মীর ‘অবিমৃশ্যকারিতা’র জন্য তাঁদের বিড়ম্ননায় পড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন: নক্ষত্র সমাবেশে স্বপ্নের বিয়ে বরুণ-নাতাশার, দেখুন চোখ ধাঁধানো বিয়ের নানান মুহূর্ত
সংগঠনের সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব বলেন, ‘‘বাংলায় বা ভারতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি কি নিষিদ্ধ না কি’’ এর জবাবে আগেই নেটিজেনদের অনেকে বলেছেন, দেশে তো ‘আই এম এ ডিস্কো ডান্সার’ গানটিও নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু কারও বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে কি সেটা গাওয়া যায় ? বিজেপির লোকেদের এই সাধারণ বুদ্ধি পর্যন্ত নেই। বিদ্বেষ ছাড়া তারা কিছু বোঝে না। সে কারণেই তারা বুঝতে পারছে না যে, নেতাজির জন্মদিনের মত অনুষ্ঠানে এই স্লোগান দেওয়া যায় না। বাক মুখর প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল, এই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা। কিন্তু তিনি নীরব থাকলেন। প্রশ্রয় পেল অসভ্যতা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের একমাত্র অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানের ঝুলিতে এবার অনন্য রেকর্ড