যেমনটা মনে করা হয়েছিল, তেমনটাই হচ্ছে। সেই হিন্দু-মুসলিম নিয়ে রাজনীতি। বিজেপির কোনও নেতার মুখ দিয়ে কেউ উন্নয়নের কথা শোনে না। কিছু উন্নয়নের কল্পিত স্বপ্নি ফেরি করেন একমাত্র মোদী। নয়া টিমে এসেই ইমাম ও পুরোহিত ভাতা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগে তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, পুরোহিত ও ইমামদের সমান চোখে দেখা হচ্ছে না। বৈষম্য রয়েছে ভাতায়। শুভেন্দুর প্রশ্ন, এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা?
শুভেন্দু ভালোভাবেই জানেন ইমাম ভাতা দেওয়া হয় কিসের বিনিময়ে। অনেকে এটা শুনে বলবেন ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে কি আর ভাত দেওয়া যায় ? সবটাই গপ্পো। তাদের ধারণাই নেই ওয়াকফের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত। তা কিভাবে বেদখল হয়ে রয়েছে সে ঘটনা সচেতনভাবেই অনেকে শুনতে চান না।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা রসিকতার ঊর্দ্ধে নন! ক্ষমা চাইবেন না, জানিয়ে দিলেন কুণাল কামরা
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ইমামরা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা না হলেও চলবে। মানে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি হলেও চলবে। পুরোহিত ভাতা পেতে গেলে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আধার কার্ড দেখাতে হবে। ৮০০০ পুরোহিত ভাতা পাচ্ছেন। অথচ ৬০,০০০ ইমাম-মোয়াজ্জেনরা পাচ্ছে। এরপরও বলবেন ন্যায়বিচার? সুবিচার? ধর্মনিরপেক্ষতা?
রানি রাসমনি রোডে সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সভায় এ দিন হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী । বিজেপিতে (BJP) যোগদানের পরই শুভেন্দু মন্তব্য করেছিলেন, ‘হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। ধর্মের প্রতি আস্থা পালন করি।’
নয়া টিমে পা রেখে শুভেন্দু যে এমন বিদ্বেষের রাজনীতি করবে, তা তাঁর মুসলিম অনুগামীরা অনেকেই কল্পনা করেননি। তাঁরা অনেকেই হতাশ। বিজেপিতে এই সব ‘আশ্রিত’ নেতাদের এটা করে যেতেই হবে। কারণ উন্নয়ন কেমন করে করতে হয়, তা তাদের জানা নেই।
এরা কেবল হিন্দুদের কষ্ট করতে পারে। যেমনভাবে ধর্মের নাম করে আইসিসির মত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি মুসলিমদের ছোট করে। এর বেশি কিছু করার ক্ষমতা বিজেপি নেতাদের নেই। গোবলয়ের অসুস্থ সংস্কৃতি এখানে সংক্রামিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এমনটা অভিযোগ বহুজনের।
আরও পড়ুন: হরিচাঁদ ঠাকুরকে ‘হরিশ্চন্দ্র’ বলেছিলেন মোদী! এটা আসলে অপমান বললেন ব্রাত্য