‘হাফ লাখ’ ভোটে মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ, না হলে রাজনীতি ছাড়বেন শুভেন্দু!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সোমবার বিকেলে রাসবিহারিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বেকারত্ব-সহ রাজ্যবাসীর যাবতীয় সমস্যার জন্য দায়ী করলেন রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “পঞ্চাশ হাজার ভোটে মাননীয়াকে হারাবই, না হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

সোমবার দুপুরেই নিজে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন ঘোষণা করে চমক দিয়েছেন মমতা। শুভেন্দুর ডেরা বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে গিয়েই তিনি সেই ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলে তৃণমূলের ‘গড়’ তথা মমতার দীর্ঘ সময়ের লোকসভা কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিছিল করেন শুভেন্দু। সেই মিছিলে খানিক বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূলের লোকেরা মিছিলে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। যার পাল্টা বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা লাঠি-হাতে তাদের তাড়া করেন। রাস্তার পাশে-রাখা মোটরবাইকও ভাঙচুর হয়। ওই মিছিলের পরেই রাসবিহারীতে সমাবেশ ছিল বিজেপি-র।

আরও পড়ুন: মানিকতলার ব্যাটারি কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১১টি ইঞ্জিন

রাসবিহারী মোড়ের সেই সমাবেশ থেকেই মমতাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়েন শুভেন্দু। পাশাপাশিই জানিয়ে দেন, পূর্বঘোষণা মতোই মঙ্গলবার তিনি নন্দীগ্রামের হেড়িয়ায় মমতার পাল্টা সভা করবেন। মমতার ঘোষণার পরে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক কি বিজেপি-র টিকিটে সেখান থেকেই নির্বাচনে লড়বেন? এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব অবশ্য শুভেন্দুর বক্তব্যে মেলেনি। তবে তাঁর কথায় এই ইঙ্গিত মিলেছে যে, তিনি আশা করছেন, দল তাঁকে নন্দীগ্রামেই লড়ার টিকিট দেবে। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আমি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টির সদস্য আর তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কমিটি। দেড় জনের পার্টি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া  কোম্পানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেও আমি তা পারি না। বিজেপি-তে তা করা যায় না। কিন্তু দল আমাকে প্রার্থী করুক বা অন্য কাউকে, পদ্ম প্রতীক নিয়ে যে-ই লড়ুক, মাননীয়াকে হারাবই হারাব!’’

বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে সোমবারই কলকাতায় প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। দক্ষিণ কলকাতায় ওই মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা আগেই করেছিল বিজেপি। কিন্তু তখন জানা ছিল না, সোমবার শুভেন্দুর পুরোন কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়ে সেখান থেকেই ভোটে লড়ার ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর ওই ঘোষণার পর এই মিছিল ও সমাবেশের গুরুত্ব বেড়ে যায়। এটা প্রত্যাশিতই ছিল যে, মমতার গড়ে এসে প্রাক্তন দলকে নতুন কোনও বার্তা দেবেন শুভেন্দু। কিন্তু বার্তার পাশাপাশিই শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে সটান চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যে শীতের মারকাটারি ব্যাটিং! কলকাতাতে পারদ নামল তেরোর ঘরে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest