হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে অসন্তোষ, অপসারণের দাবিতে চিঠি রাজ্য বার কাউন্সিলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে অপসারণ করা হোক। এমনই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্নাকে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিল। নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটনকে হলফনামা পেশ করতে না দেওয়া, নন্দীগ্রাম মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চেই রেখে দেওয়ার মতো বিষয়গুলির প্রেক্ষিতে ‘জরুরিভিত্তিতে’ সেই চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘গুজবে কান দেবেন না, ভ্যাকসিন নিন’, দেশবাসীকে বোঝাতে নিজের মায়ের উদাহরণ টানলেন প্রধানমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির আচরণের সমালোচনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক বিচারপতি। তাতে ২৫ মে বিচারপতি অরিন্দম সিনহার লেখা একটি চিঠির উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে বিচারপতি সিনহা জানিয়েছিলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যে আচরণ করেছেন, তাতে ‘বিচারব্যবস্থা উপহাসের পাত্রে’ পরিণত হয়েছে। তারইমধ্যে নারদ মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ সিবিআইকে একাধিকবার হলফানা দাখিল করতে দিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর হলফনামা পেশের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাতে ‘আপাতভাবে বিচারপতি বিন্দালের পক্ষপাতিত্বের স্পষ্ট সংকেত।’ শেষপর্যন্ত মমতা এবং মলয়কে হলফনামা পেশের সুযোগ দিয়েছে সুুপ্রিম কোর্ট।

শুধু নারদ মামলা নয়, বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে নন্দীগ্রাম মামলা নিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের সদস্যরা। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে সেই মামলা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা বিচারপতি চন্দের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন। যদিও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের তরফে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, এটা বলা একেবারেই ভুল হবে না যে বিচারপতি চন্দ আগে বিজেপির সদস্য ছিলেন এবং সে বিষয়ে তিনি যথেষ্ট গর্ববোধ করতেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতিও নন। পাশাপাশি বিজেপি এবং গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগের কথাও জানা। তা থেকে ইঙ্গিত মিলছিল যে বিচারপতি চন্দ নিরপেক্ষভাবে মামলার বিচার করতে পারবেন না। তা সত্ত্বেও  ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সেই মামলা বিচারপতি চন্দের এজলাসে রেখে দেওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

আরও পড়ুন: কোভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত রাজস্থানের বৃদ্ধা, বাড়ছে শঙ্কা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest