প্রেগনেন্সি টেস্ট কেন সকালেই করা হয়?

সঠিক রিপোর্ট পেতে রাতের থেকে সকালে টেস্ট করাই ভালো। যদি মনে হয়, আপনি প্রেগন্যান্ট তবে হোম কিটের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও সঠিক ফলাফলের জন্য ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সাধারণত সকালেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় গর্ভধারণ সন্দেহে ঘরেই কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয় প্রেগনেন্সি। এজন্য প্রয়োজন হয় সকালের প্রথম ইউরিন। গর্ভধারণ বিষয়ে নিশ্চিত হতে সব নারীই এখন হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করেন।

যদিও সবসময় এর ফলাফল সঠিক আসে, তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে হোম কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল ভুল আসতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলাফল ঠিক আসার কারণে নিশ্চিন্তেই সবাই হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করেন।

আরও পড়ুন : এই গরমে যে ১০ কারণে জাম অবশ্যই খাওয়া উচিত, জেনে নিন ঠিক কীভাবে খাওয়া উচিত

তবে সবসময় সকালেই কেন এই কিট ব্যবহার করতে হয়? এ বিষয়ে নিশ্চয়ই কৌতূহল জাগে! প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, প্রেগন্যান্সি টেস্ট সকালে করা উচিত, এতে পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক আসে। রাতে এই টেস্ট করলে ভুল রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে। তবে সেই ফলাফল কতটুকু ঠিক বা ভুল, সে বিষয়টি এখনও এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ ঘরে কিট ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে গর্ভবতী কি-না জানা যায়, এজন্য প্রয়োজন হয় প্রস্রাবের একটি বিশেষ উপাদান।

হিউম্যান ক্রনিক গোনাডোট্রপিন বা (এইচসিজি)র উপস্থিতির উপর নির্ভর করেই গর্ভধারণের ফলাফল বের হয়। ওভালুয়েশন শুরু হওয়ার ১০ দিনে শরীরে উৎপাদিত প্ল্যাসেন্টার উপর এই হরমোনের উপস্থিতি নির্ভরশীল। হোম টেস্ট কিটের দ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব, এই স্তরে (এইচসিজি)র পৌঁছালে, তবেই পরীক্ষার সঠিক ফল মেলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম ইউরিন বেশি ঘন হয়ে থাকে। আর (এইচসিজি)র উপাদানটি ওই সময়ই বেশি পরিমাণে থাকে প্রস্রাবে। যত বেলা বাড়ে; ততই ইউরিন পাতলা হয় এবং তাতে (এইচসিজি)র উপস্থিতি কমতে থাকে। তাই রাতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে আপনি গর্ভবতী হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে।

শারীরিক সম্পর্কের পর যদি কোনো মাসে পিরিয়ড মিস হয়; তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। তবে অনিয়মিত পিরিয়ড হলে শেষ পিরিয়ডের তারিখের পর ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

সঠিক রিপোর্ট পেতে রাতের থেকে সকালে টেস্ট করাই ভালো। যদি মনে হয়, আপনি প্রেগন্যান্ট তবে হোম কিটের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও সঠিক ফলাফলের জন্য ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।

আরও পড়ুন : বীর্যপাত বন্ধ রেখে কিভাবে যৌন মিলন করবেন?পদ্ধতি জেনে নিন (+18)

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest