কলকাতা: শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ছয় তলা থেকে ওই মেডিক্যাল ছাত্রীকে পড়ে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম পৌলমী সাহা। তিনি স্নাতকোত্তর পাঠক্রমের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। শিশু রোগ বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এদিন তাঁর ফিভার ক্লিনিকে ডিউটি ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শিশু বিভাগের সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে তিনি ডিউটি করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ জোরে একটা কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শোনা যায়’। এর পর সেখান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: পরনে শুধু ব্যাগ! এবার ইনস্টাগ্রাম মাতাচ্ছে ‘শপিং ব্যাগ চ্যালেঞ্জ’!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ হঠাৎই ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পান হাসপাতাল চত্বরে থাকা কর্মী এবং পুলিশরা। তার পরই পৌলমীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান জরুরি বিভাগের সামনে মাটিতে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টালা থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, জরুরী বিভাগের ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছেন তিনি।
দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালের মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অবসাদ থেকে আত্মহত্যা? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।সহপাঠীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই এই ঘটনা। পৌলমী যে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তা তাঁর পরিবারকেও জানানো হয়েছিল।
এমনিতেই রাজ্যজুড়ে করোনা আতঙ্ক চলছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরেও। রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎকের আত্মহত্যায় প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ নাসিরুদ্দিন শাহ? জেনে নিন কি জানালেন অভিনেতার ভাইজি