The News Nest: পশুপ্রেমীদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে প্রতিবেশী মিজোরামের পথই শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করল নাগাল্যান্ড। নিষেধাজ্ঞা জারি করে কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিল নাগাল্যান্ড সরকার। শুধু বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি বন্ধ করাই নয়, কুকুরের মাংস খাওয়ায় এ বার থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব টেমজেন টয় শুক্রবার ট্যুইট করে জানান, রাজ্য সরকার কুকুরের বাণিজ্যিক আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যে কুকুর নিয়ে ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ। কুকুরের বাজারগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, নাগাল্যান্ড সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের কোথাও কুকুরের মাংস (রান্না করা বা কাঁচা অবস্থায়) বিক্রি করা যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন : পৈশাচিক! মহিলা ক্রেতা খুনের পর লাশের সঙ্গে সঙ্গম মুম্বইয়ের দোকানদারের
গত মার্চে নাগাল্যান্ডের প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পর থেকেই নাগাল্যান্ডে থাকা ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমাল প্রোটেকশন অর্গানাইজেশন (FIAPO) -এর সদস্যরা এই বিষয়ে বারবার নাগাল্যান্ড সরকারের কাছে আবেদন জানাতে থাকে।
শুধুমাত্র মাংস খাওয়ার জন্য এশিয়া জুড়ে প্রতি বছর ৩ কোটি কুকুর ও ১০ কোটি বিড়াল হত্যা করা হয়। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম এবং উত্তর পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ অংশে কুকুর ও বিড়ালের মাংসের ব্যাপক চল রয়েছে। তবে, হংকং, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর কুকুরের মাংসের ব্যবসা ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।
কিছু দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ছবিতে দেখা যাচ্ছিল যে বস্তায় করে কুকুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কুকুরগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন একজন ট্যুইটার ব্যবহারকারী। এই খবর প্রকাশ্যে আসতে হস্তক্ষেপ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। কুকুরের আমদানি-রফতানি বন্ধ করার জন্য নাগাল্যান্ড পুলিশের কাছে আবেদন করেন মানেকা। এই নিয়ে হইচই শুরু হতেই মাংসের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হল নাগাল্যান্ডে।
আরও পড়ুন : লাদাখে গিয়ে চিনের নাম করতে পারলেন না কেন ?মোদীকে খোঁচা চিদাম্বরমের