একসঙ্গে ২৫ স্কুলে পড়াতেন, সবমিলিয়ে রোজগার মাসে ১ কোটি! শেষে গ্রেফতার শিক্ষিকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The news nest: একজন মহিলা একসঙ্গে ২৫ জনের চাকরি করেছেন। তা-ও আবার পূর্ণমেয়াদের শিক্ষিকা হিসেবে।২৫ স্কুলেই তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। এ ভাবে এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত করে, প্রতারণার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বেতন বাবদ আয় করেছেন ₹১ কোটি!

অনামিকা শুক্লা নামে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকাকে যোগীপুলিশ উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫টি স্কুলই কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের আওতায়।

আরও পড়ুন : সোপিয়ানে মারাত্মক সংঘর্ষ, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম ৩ জঙ্গি

কাশগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক অঞ্জলি আগরওয়াল জানান, এক বন্ধুর মারফত শনিবার শিক্ষা দফতরে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। কাশগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক অঞ্জলি আগরওয়াল জানান, এক বন্ধুর মারফত শনিবার শিক্ষা দফতরে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। ওই বন্ধুকে বসিয়ে রেখে, তাঁকে তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে আসতে বলা হয়।

পুলিশকে আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামামাত্র অনামিকা শুক্লা নামে ওই শিক্ষিকাকে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর লোকাল থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ তাঁকে জেরা শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, অফিশিয়ালি বাগপত জেলার কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ণ মেয়াদের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দফতর শিক্ষিকাদের ডিজিটাল ডেটাবেস তৈরি শুরু করে। তাতেই ধরা পড়ে যায় শিক্ষিকার প্রতারণা। দেখা যায়, একসঙ্গে ২৫টি স্কুলে তিনি চাকরি করছেন।উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী ডক্টর সতীশ দ্বিবেদী ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়।

উত্তরপ্রদেশে সবমিলিয়ে ৭৪৬টি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। অনামিকা শুক্লার মতো আর কোনও শিক্ষিকা এ ভাবে সেখানে কাজ করেছেন কি না, তা ভালো করে খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে তিনি নির্দেশ দেন। অনামিকার পক্ষে কী করে এটা সম্ভব হল, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে দফতরের কারও হাত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, তদন্তে যদি দেখা যায়, দফতরের কারও মদতে অনামিকা শুক্লা ২৫টি স্কুলে চাকরি করেছেন, তবে, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষকদের উপস্থিতি নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ডিজিটালি অ্যাটেন্ডেন্সের ব্যবস্থা চলছে। প্রতিটি স্কুলকে এ জন্য একটি করে ট্যাবলেট দেওয়া হবে। কিন্তু, করোনা লকডাউনের কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অতুল শর্মা বলেন, ‘শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন বেসিক এডুকেশন অফিসার। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে তিনি চাকরি পেয়েছেন। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আরও পদক্ষেপ করা হবে।’

 উত্তরপ্রদেশ শিক্ষামন্ত্রী সতীশ দ্বিবেদীর জানান, এ বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। তিনি সংবাদমাধ্যম থেকেই প্রথম বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি, একজন শিক্ষিকা ২৫ টি জায়গায় কর্মরত। অনামিক শুক্লার নথি ব্যবহার করে তিনি বাগপত, সাহারানপুর, আলিগড়, আমেঠি এবং আম্বেদকর নগরে তাঁর পোস্টিং পেয়েছিলেন। তদন্ত চলছে।’

আরও পড়ুন : সোনার খনির খবর এবার পড়শী রাজ্যে, অর্থনীতির মন্দ কাটানোর গপ্পো, নাকি সত্যি, জেনে নিন

Gmail 1

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest