সংকটের সময় তারা সরকার এবং সেনাবাহিনীর পাশেই রয়েছেন৷ কিন্তু কীভাবে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল, কেনই বা কুড়িজন জওয়ানকে প্রাণ দিতে হল, লাদাখ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি৷ কংগ্রেস সভানেত্রীর দাবি, নীরবতা ভেঙে লাদাখ কাণ্ডে সব তথ্য সামনে আনুক সরকার৷
কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে বলুন, কীভাবে চিন আমাদের ভূখণ্ড দখল করল, কেন আমাদের ২০ জন সেনা জওয়ানকে শহিদ হতে হল?’ একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, লাদাখে কতজন সেনা আহত হয়েছেন, কোনও সেনা জওয়ান এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কি না, এই সমস্ত তথ্য দেশবাসীকে জানাক সরকার৷ শুধু তাই নয়, স্বচ্ছতার সঙ্গে লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী, তাও সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী৷ নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতিও তাঁর সমবেদনা জানান সনিয়া৷
আরও পড়ুন : নিরাপত্তার স্বার্থে ৫২টি চিনা অ্যাপ ব্লক করুন, সুপারিশ গোয়েন্দা বিভাগের
বুধবার সাতসকালে ট্যুইটে রাহুল লেখেন, ‘কেন প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন? কেন তিনি লুকোচ্ছেন? যথেষ্ট হয়েছে। কী হয়েছিল, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। চিন আমাদের সৈনিকদের মারার সাহস পায় কী করে? ওরা আমাদের জমি নেওয়ার সাহস পায় কী করে?’
শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন রাগা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সত্যিটা সবাইকে জানানোর আবেদন করে ভিডিয়োয় রাহুল বলেছেন, ‘দু দিন আগে ভারত ২০ জন সৈনিককে হারিয়েছে। তাঁদের পরিবারের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। চিন আমাদের জমি দখল করে আমাদের ভূখণ্ডে চলে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীজি আপনি কেন চুপ করে আছেন? কোথায় লুকিয়ে আছেন? আপনি বেরিয়ে আসুন। গোটা দেশ আপনার পাশে আছে। আমরা সবাই আপনার সঙ্গে আছি। বেরিয়ে এসে সত্যিটা জানান। ভয় পাবেন না।’
ভিডিও বার্তায় সনিয়া গান্ধি বলেন, ‘২০ জন সেনা জওয়ানের হত্যার ঘটনা গোটা দেশের মানুষের অন্তর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷ আমি সেই বীর সেনাদের অন্তর থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং ভগবানের কাছে প্রার্থণা করি তাঁদের পরিবার যেন এই কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠার শক্তি পায়৷’ এ দিন সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও প্রশ্ন তোলেন, লাদাখের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ?
যদিও এ দিন বিকেলেই লাদাখের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সেনাদের বলিদান ব্যর্থ হতে দেওয়া হবে না৷ উস্কানি দিলে যে ভারত প্রত্যাঘাত করতে সক্ষম, তাও মনে করিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি৷ একবারের জন্যেও তিনি চীনের নাম করেননি। সবটাই ছেড়েছেন ইঙ্গিতে।
আরও পড়ুন : পড়শিদের সঙ্গে সম্পর্কে চিড়, অর্থনীতি বেহাল, ‘অল ইজ ওয়েল’ মন্ত্র জপতে বলছে মোদী সরকার!