একে মহামারীতে রক্ষে নেই, বিষ মদ দোসর। এমনই পরিস্থিতি পাঞ্জাবে। প্রশাসন যখন করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই শহরের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠেছে বিষ মদের ভাঁটি।
বুধবার রাতে প্রাথমিক ভাবে অমৃতসরে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। কিন্তু এর পরে গুরুদাসপুর এবং তরণ তারণ জেলা থেকেও বিষমদে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। শুক্রবার রাতে পঞ্জাবের তিনটি জেলায় বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ২১ ছুঁয়ে ফেলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের অবস্থা এখনও গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে আজ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ।
আরও পড়ুন : ৩৩ বার ম্যাট্রিকে ফেল করে করোনার দৌলতে পাশ প্রৌঢ়ের
অমরেন্দ্র সিংহ শুক্রবার টুইট করেন, ‘‘বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। জালন্ধর ডিভিশনের কমিশনার এই তদন্ত পরিচালনা করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির এসএসপি (পুলিশ সুপার) এবং অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাঁকে সহায়তা করবেন। দোষীদের কোনও অবস্থাতেই রেহাই মিলবে না।’’
মহামারী আবহেও নেশায় লাগাম পরেনি। কাজ মিলছে না। ফলে পকেটে অর্থের টান। তাই ভরসা দেশি মদে। কিন্তু সেটাই যে বিষ হয়ে উঠবে তা বোধহয় অনেকেই ভাবতে পারেননি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার থেকে বিষ মদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারান তরন।
I have ordered a magisterial enquiry into suspected spurious liquor deaths in Amritsar, Gurdaspur and Tarn Taran. Commissioner, Jalandhar Division will conduct the enquiry and coordinate with concerned SSPs and other officers. Anyone found guilty will not be spared.
— Capt.Amarinder Singh (@capt_amarinder) July 31, 2020
অমৃতসরের তারসিক্কার মুচ্ছল এবং তাংরা গ্রামে প্রথম ৫ জনের মৃত্যু হয়। অন্য জেলাও মৃত্যু মিছিল অব্যহত। শুক্রবার আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। খবর যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : হাতের নাগালে মদ না পেয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার গিলে মৃত ৯