তাঁর হাত ধরেই গুজরাতে প্রথমবার এককভাবে সরকার গড়েছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হলেন গুজরাতের সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২।
সেপ্টেম্বরে কেশুভাইয়ের এক পরিচারকের করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। সেই কারণে কোভিড টেস্ট করা হয় কেশুভাইয়েরও। প্রথমে অ্যান্টিজেন টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আরটিপিসিআর পরীক্ষাতেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে বর্ষীয়ান কেশুভাইয়ের দেহে। তবে বড় কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকায় বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। এ দিন শ্বাসকষ্ট শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে ‘না’, মুম্বইয়ের রাস্তায় অভিনেত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপাল ‘ফেসবুক বন্ধু’
বিজেপি থেকে প্রথমে ১৯৯৫ সালের ১৪ মার্চ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন কেশুভাই। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শঙ্করসিন বাঘেলা। বিজেপি থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গঠন করেন তিনি। ফলে সাত মাসের মাথায় সরকার পড়ে যায়। পরে ১৯৯৫ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন কেশুভাই। ১৯৯৮ সালে ফের সরকার ভেঙে যায়। তবে ফের নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। ২০১২ সালে বিজেপি ছেড়ে নিজের দল গুজরাত পরিবর্তন পার্টি গঠন করেন কেশুভাই।
কেশুভাইয়ের পর আর কোনও অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পায়নি গুজরাত। বরং কেশুভাইয়ের পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই কেশুভাইয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটারে তিনি বলন, ‘আমাদের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় কেশুভাই প্রয়াত হয়েছেন। আমি অত্যন্ত দুঃথিত এবং শোকাহত। উনি একজন দুর্দান্ত নেতা ছিলেন। যিনি সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের দেখভাল করতেন। গুজরাতের উন্নতি এবং প্রত্যেক গুজরাতের মানুষের ক্ষমতায়নের নিজের উৎসর্গ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রিতে! বর্ষা বিদায় নিতেই হেমন্তের ছোঁয়া বঙ্গের বাতাসে