মোদী জমানায় গত তিন বছরে সীমান্তে দ্বিগুণ শক্তি বাড়িয়েছে চিন, বলছে রিপোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গত তিন বছরে এলএসি বরাবর নিজেদের শক্তি তিন গুণ বাড়িয়ে নিতে সফল হয়েছে তারা। ভূ-রাজনৈতিক সংক্রান্ত মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা স্ট্র্যাটফরের একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

মোদী যখন জিনপিংয়ের সঙ্গে দোলনায় দুলছিলেন, তখনই বোধহয় বেজিংয়ের ছক কষা শেষ। লাদাখে চিনা বাহিনীর আগ্রাসন আসলে দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। ডোকলামে সংঘাতের পর ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর এলাকাগুলি নিজেদের কব্জার মধ্যে নিয়ে আসাই লক্ষ্য ছিল ড্রাগনদের। তাই লাদাখ-সহ ভারতের পূর্ব দিকে এলএসি বরাবর সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করে চিন।

চলতি বছরের গোড়া থেকেই চিনের সম্প্রসারণ নীতি ঠেকিয়ে আসার চেষ্টা করছে ভারত। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষও বেধেছে। লাদাখে স্থিতাবস্থা টিকিয়ে রাখতে এই মুহূর্তে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে চাইছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এলএসি বরাবর চিনের শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট দিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

1599594309 3645

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এলএসি বরাবর সংলগ্ন এলাকায় কমপক্ষে ১৩টি নতুন সামরিক অবস্থান গড়ে তুলতে শুরু করেছে চিন। তার মধ্যে তিনটি বায়ুসেনা ঘাঁটি, পাঁচটি স্থায়ী আকাশসীমা প্রতিরক্ষা কেন্দ্র এবং পাঁচটি হেলিপোর্ট রয়েছে। লাদাখ সংঘাতের পরই হেলিপোর্টগুলি তৈরির কাজ শুরু হয় বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এ ছাড়াও রেডিয়ো সিগন্যাল, র‍্যাডার এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অবস্থান নির্ধারণ করার জন্য রয়েছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্টেশন।

চীনের ব্যাপারটি চেপে রেখে মোদী সরকার দেশবাসীর দৃষ্টি পাকিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে। ফলে চীন আরও শক্তি বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছ। পাকিস্তান আমাদের শত্রু এই ভাবনা ছড়িয়ে দিতে পারলে তাতে গেরুয়া রাজনীতির কিঞ্চিৎ সুবিধা হয়। চিনে তেমনটা হয় না। তাছাড়া শক্তিতেও পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের কোনও তুলনা চলে না। তবুও পাকিস্তানকে সামনে রাখতে পারলে কোথাও একটা নাম না করে মুসলিমদের আঘাত করা যা। গেরুয়া সৈনিকরা বিদ্বেষের বান ছোটাতে পারে। তাই সত্য ঢাকতে গিয়ে বিপদ বাড়িয়েছে মোদী সরকার। ভক্তরা ছাড়া অনেকেই তা মেনে নিতে পারবেন।

INDIA CHINA TROOPS

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন স্ট্র্যাটফরে কর্মরত আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি বিশেষজ্ঞ সিম ট্যাক। তিনি নিজে ওই রিপোর্টটি লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘লাদাখে সংঘাত দানা বাঁধার আগে থেকে যে ভাবে ওই সংলগ্ন এলাকায় সামরিক শক্তি বাড়াতে শুরু করে চিন, তাতেই বোঝা যায় এই এর পিছনে বড় ধরনের কোনও মতলব রয়েছে। আসলে এলএসি সংলগ্ন সংলগ্ন অঞ্চলগুলিকে নিজেদের কব্জায় আনতে চায় ওরা।’’

শুধু লাদাখ বা ভারতের পূর্ব দিকেই নয়, দক্ষিণ চিন সাগর এবং ভারত মহাসাগরেও চিন একই ভাবে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে একটি প্রবাল দ্বীপ সংলগ্ন এলাকাকে নৌ-ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তাদের। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি, যার মধ্যে অন্যতম হল ভারত। এ বছর মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একজোট হয়ে ভারত জানিয়ে দেয়, দক্ষিণ চিন সাগরে কারও একার আধিপত্য স্বীকার করা হবে না। ওই এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই ভারতের প্রধান লক্ষ্য।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest