পঙ্গপাল মারতে ১০০০ ‘জলকামান’ ড্রোন ! যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : পঙ্গপাল মারতে এ বার জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। তার জন্য ৮৯টি দমকলের ইঞ্জিনের মাধ্যমে স্প্রে-সহ বিপুল পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষিকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রথম রাজস্থানে হানা দেয় এই পঙ্গপাল, এখন তারা ছড়িয়েছে পঞ্জাব, গুজরাট মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে। দিল্লি কৃষি দফতরের আধিকারিক এপি সাইনি একটি নির্দেশিকায় বলেন, “যেহেতু দিনে উড়ে বেড়ায়, এবং রাতে বিশ্রাম নেয়, তাদের রাতে বিশ্রাম নিতে দেওয়া যাবে না”। মরু পঙ্গপালের হানা থেকে চারা কে রক্ষা করতে নার্সারিগুলি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছে দিল্লির বন দফতদর।

পঙ্গপালের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে ময়দানে নামছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। বুধবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দমকলের ৮৯টি ইঞ্জিন থেকে কীটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি একাধিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১২০টি সার্ভে যান মোতায়েন করা হয়েছে। এই গাড়িগুলি পঙ্গপালের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাবে এবং সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে। তার পর সেই অনুযায়ী সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: পরিযায়ীদের থেকে ট্রেন বা বাস ভাড়া নেওয়া যাবে না, কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

দমকলের গাড়ি ছাড়াও সাধারণ ৪৭টি গাড়ি থেকেও কীটনাশক স্প্রে করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রক। এ ছাড়া একই ভাবে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য আরও ৮১০টি ট্রাক্টরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে স্প্রে করা যানের সংখ্যাই প্রায় ১ হাজার। প্রয়োজন অনুযায়ী সেই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।

পঙ্গপাল তাড়াতে রাজস্থানে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রথম ভারতের কোনো রাজ্য পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করল।রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের চোমু তেহসিল এলাকার সামোদ গ্রামে পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এক দিন আগে পঙ্গপাল হানা দেয় এই গ্রামের কৃষিজমিতে। পরে মধ্যপ্রদেশেও পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় কিছু ড্রোন রাজস্থান রাজ্য কৃষি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন বুধবার সকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু করা হয়। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের চোমু তেহসিল এলাকার সামোদ গ্রামে পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এক দিন আগে পঙ্গপাল হানা দেয় এই গ্রামের কৃষিজমিতে। পরে মধ্যপ্রদেশেও পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

বিশেষভাবে তৈরি এই ড্রোনগুলো ব্যবহার করে ১০ লিটার করে কীটনাশক ছড়ানো যায়। এটি একধরনের শব্দ করে, যা পঙ্গপাল তাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু কীটনাশক স্প্রে করার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয়নি মহারাষ্ট্রে। বরং পতঙ্গবিভ্রাট আরও বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যে কীটনাশক স্প্রে করতেই দু’টি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে পঙ্গপাল। একটি দল নাগপুরের পারসিওনির দিকে চলে গিয়েছে। অন্য দলটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভান্ডারা এলাকায়।

কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের মতে, সাধারণত দিনের বেলা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় পঙ্গপালরা। যাত্রাপথে উজাড় করে মাঠের ফসল। কিন্তু রাতে বিশ্রাম নেয় এই পতঙ্গের দল। তাই রাতে বিশ্রামের সময় স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

ছত্তীসগড়, উত্তরপ্রদেশেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ওড়িশায় বুধবারই একটি নির্দেশিকা জারি করে কৃষকদের কী করণীয়, তা জানিয়েছে নবীন পট্টনায়ক প্রশাসন।ওড়িশাতে পঙ্গপাল হানা দিলে বাংলা আর কোন মুলুক!সেখানে আসতে তাদের আর বিশেষ সময় লাগার কথা নয়।ইতিমধ্যেই কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে বাংলার কৃষকদের।

আরও পড়ুন: শরীরে করোনা উপসর্গ, হাসপাতালে ভর্তি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র

Gmail 3


Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest