মহরমের শোভাযাত্রার অনুমতি দিলে একটি সম্প্রদায়কে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হবে। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি সপ্তাহের শেষেই মহরম পালিত হওয়ার কথা আছে। সেই উপলক্ষে শোভাযাত্রা বার করার অনুমতি চেয়ে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এদিন সেই আর্জি নাকচ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা যদি মহরমের শোভাযাত্রা বার করতে অনুমতি দিই, তাহলে নানা সমস্যা সৃষ্টি হবে। কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে দায়ী করা হবে।”
আরও পড়ুন : দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড! একদিনে ভারতে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৭৬,০০০, মোট মৃত্যু ৬০ হাজার ছাড়াল
Supreme Court today declined to pass orders on a petition seeking permission to take out mourning processions; says it will not pass orders that could risk the health of so many people. pic.twitter.com/lLNdFDfEFb
— ANI (@ANI) August 27, 2020
মহরমের শোভাযাত্রার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন সৈয়দ কালবে জাভেদ। তিনি বলেন, জুন মাসে ওড়িশায় রথযাত্রা উৎসবের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাই মহরমের শোভাযাত্রারও অনুমতি দেওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রার কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেই রথ একটি স্থান থেকে বার হয়। একটি রুট ধরে যায়। সেক্ষেত্রে আমরা আন্দাজ করতে পারি, রথযাত্রায় ঠিক কতদূর ঝুঁকি আছে। কিন্তু মুশকিল হল, আপনি সারা দেশে মহরমের শোভাযাত্রার অনুমতি চাইছেন।”
পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা সব মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিতে পারি না। আপনি যদি কেবল একটি জায়গা থেকে শোভাযাত্রা বার করার কথা বলতেন, আমরা ভেবে দেখতাম তাতে কতদূর ঝুঁকি আছে।”
আবেদনকারী লখনউতে মহরমের শোভাযাত্রা বার করার অনুমতি চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের রাজধানীতে বড় সংখ্যক শিয়া মুসলমান থাকেন। সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীকে বলে, আপনার এলাহাবাদ হাইকোর্টের থেকে অনুমতি চাওয়া উচিত ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ এদিন মহরমের শোভাযাত্রা নিয়ে আবেদন শোনে, তাতে প্রধান বিচারপতি বাদে ছিলেন বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম।
করোনা অতিমহামারী রোখার জন্য গত মার্চের শেষে দেশ জুড়ে লকডাউন জারি করা হয়। তখনই ধর্মীয় ও অন্যান্য জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। জুন মাসে শীর্ষ আদালত প্রথমে পুরীর রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি। বিচারপতিরা বলেছিলেন, “আমরা রথযাত্রার অনুমতি দিলে প্রভু জগন্নাথ আমাদের ক্ষমা করবেন না।” তার পাঁচদিন পরে কেন্দ্রের আর্জি মেনে সুপ্রিম কোর্ট রথযাত্রায় অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন : বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদ, সেমিফাইনালে উঠে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন ওসাকা