‘ওয়ার্ক ফ্রম পাহাড়’ করতে চান? জেনে নিন কোথায় মিলছে এমন সুযোগ…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আচ্ছা, যদি এমনটা হয়, বাড়িতে বসে কাজ করার সময় সামনের জানালাটা খুলে দিলেন। সেই মুহূর্তে পাহাড়ের ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাস আপনাকে ছুঁয়ে গেল। পাখিদের কলকাকলি এক্কেবারে ঘরের ভিতর থেকেই শোনা যাচ্ছে। হাতে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। কাজ শেষে নিঝুম সন্ধ্যেবেলা পায়ে হেঁটে পাহাড় দেখার পরিকল্পনা মনে। মন্দ হয় না, তাই না! কাজের চাপও হালকা হয়ে যাবে। বসের গালমন্দও মনকে খুব একটা ছুঁয়ে যাবে না। কিন্তু , নিশ্চই আপনি ভাবছেন , এ কেমন গালগপ্পো? না মোটেই গল্প নয়। একেবারে সুবর্ণ সুযোগ। ওয়ার্ক ফর্ম পাহাড়।

এ ভাবে কাজ করার স্বপ্ন যদি কখনও দেখে থাকেন, তা হলে তা পূরণ করার অভিনব সুযোগ রয়েছে আপনার সামনে। সৌজন্যে উত্তরাখণ্ড সরকারের পর্যটন বিভাগ। বাড়ি থেকে কাজের একঘেয়েমি কাটাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে তারা। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন বিভিন্ন মনোরম পর্যটন কেন্দ্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাজ করেও ছুটির আমেজ উপভোগ  করার এই সুবিধার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার্ককেশন’।

আরও পড়ুন: পুজোয় বেড়াতে যেতে চান কাছেপিঠে? খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলি

বিষয় নিয়ে উত্তরাখণ্ড পর্যটনের সেক্রেটারি দিলীপ যাওয়ালকর বলেছেন, ‘‘ওয়ার্ককেশন ছুটি কাটানোর সব থেকে ট্রেন্ডিং ধারণা। কোভিড-১৯ অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজ করার যুগে এই সুযোগ আনছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ছুটিতে এসেও যাতে অফিসের কাজ করা যায়, সে জন্যই এই উদ্যোগ। জিম করবেট, ল্যান্সডাউন, মুসৌরি, কৌসানি, দেহরাদুন, নৈনিতাল, আলমোরার মতো জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যেই কাজ করতে পারবেন পর্যটকরা।’’

এই সব জায়গার বিভিন্ন হোমস্টে, হোটেল ও রিসর্টে কম খরচেই ওয়ার্ককেশনের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। কাজ করার ফাঁকে যাতে ঘুরতে যাওয়া, বাইকিং, ট্রেকিং করা যায়, সেই সব ব্যবস্থাও থাকবে পর্যটন বিভাগের তরফে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন পেশাদাররা এই ওয়ার্ককেশনের প্যাকেজ নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন বলে জানাচ্ছেন সেখানকার হোমস্টে ও হোটেল মালিকরা। আপনিও কি চাইছেন ওয়ার্ককেশনের অভিজ্ঞতা নিতে? তা হলে আর দেরি করবেন না। শুধু জামাকাপড় আর ল্যাপটপ নিয়ে পৌঁছে যান সে জায়গায়। সেট আপ করে শুরু করে দিন কাজ। পরিবার পরিজন বা পছন্দের মানুষকেও নিয়ে যেতে পারেন। একঘেয়েমি দূর হয়ে যাবে আপনার। মন বসবে কাজে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest