নারী নিরাপত্তার করুণ ছবি! দেশে প্রতি ১৬ মিনিটে ধর্ষিতা হন এক মহিলা, প্রতি ১ ঘণ্টায় পণপ্রথা সংক্রান্ত অত্যাচারে মৃত্যু

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

উত্তরপ্রদেশের হাতরসের ধর্ষণের ঘটনায় শোরগোল দেশজুড়ে৷ এরই পরিপেক্ষিতে ন্যাশনল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তাদের সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আনতেই শুরু চাঞ্চল্য৷ ভারতে মহিলাদের করণ দশার তথ্য উঠে এল সামনে৷ শুধু ধর্ষণই নয়, পণের জন্য অত্যাচার, মহিলা পাচারের মত ভুরি ভুরি ঘটনা যা দেখলে সত্যিই ভয় করবে৷ রইল সেই ভয়াবহ তথ্য৷

NCRB’র রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে দেশে প্রতি ১৬ মিনিট অন্তর অন্তর একজন মহিলা ধর্ষিতা (Rape) হন। অর্থাৎ প্রতিদিন দেশে ৯০ থেকে ৯১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আরও উদ্বেগজনক হল, প্রতি ৩০ ঘণ্টা অন্তর কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এদেশে। শুধু তাই নয়, গতবছর দেশে প্রত্যেক ২ ঘণ্টা অন্তর কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসী’ ষাঁড়ের গুঁতোয় ধরাশায়ী বৃদ্ধা,উদ্ধারে আসা নাতির ওপরও হামলা, দেখুন ভিডিও

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অ্যাসিড হামলার ঘটনাও ঘটেছে রীতিমতো উদ্বেগজনক হারে। NCRB’র রিপোর্ট বলছে, গতবছর প্রতি দুদিন অন্তর দেশের কোনও না কোনও মেয়েকে অ্যাসিড হামলার শিকার হতে হয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাসিড হামলার মতোই দেশে নারী পাচারকারীদের রমরমা আগের তুলনায় বেড়েছে। গতবছর প্রতি চার ঘণ্টায় কোনও না কোনও মহিলাকে পাচার করা হয়েছে।

এছাড়া যৌন হেনস্তা, শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা তো আকছার ঘটছেই। পরিসংখ্যান বলছে, গতবছর প্রতি ৬ মিনিট অন্তর দেশের কোনও না কোনও মহিলাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এনসিআরবির ওই রিপোর্টই বলছে, কড়া আইন থাকা সত্বেও ভারতে এখনও পারিবারিক হিংসা বা পণের দাবিতে অত্যাচারের মতো অপরাধে লাগাম পরানো যায়নি। এখনও দেশে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একজন বধূর পণপ্রথা সংক্রান্ত অত্যাচারের জন্য মৃত্যু হয়। প্রতি চার মিনিট অন্তর দেশের একজন বধূ তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে অত্যাচারিত হন।

আরও পড়ুন: ‘মেলেনি বীর্য’,ধর্ষণের উল্লেখ নেই হাথরসের নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest