রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। পরিবর্তন করা হল বাজার খোলা রাখার সময়েও। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাংক খোলার সময়ও।
বুধবার শপথ গ্রহণের পরই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। শপথগ্রহণের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই এদিনে একাধিক নতুন নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- কাল থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন।
- সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ।
- বাজার খোলার সময় পরিবর্তন করা হল। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা, এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
- তবে বউবাজারের সোনার দোকান খোলা রাখার সময়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোনার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: ভোটের ফল প্রকাশের আগের দিনই রাজভবনে মিঠুন, শুরু গুঞ্জন
- ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।
- সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীর হাজিরা চালু।
- বেসরকারি অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর।
- করোনা পরিস্থিতিতে বিমান যাত্রীদের কোভিড রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিমানে উঠতে গেলে যাত্রীদের কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
- জরুরি ভিত্তিতে এ রাজ্যে আসা সকলকে বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
- করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের সকলকেই আবশ্যিক ভাবে মাস্ক পরতে হবে বলে জানালেন মমতা।
- পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শপিং মল, রেস্তোঁরা, পানশালা— সবই বন্ধ থাকবে।
- রাজ্যের সর্বত্র ৫০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্যে সরকার। এমনকি, ৫০ জনের জমায়েতের জন্যও অনুমতির প্রয়োজন বলে জানালেন মমতা।
রাজ্যে এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ লকডাউন না হলেও দোকান, বাজার, ব্যাঙ্ক খোলা রাখার বিষয়ে সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ও হোম ডেলিভারিতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বিষয় উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শপথগ্রহণেই দ্বৈরথ! হিংসা নিয়ে ধনখড়ের খোঁচা, পালটা ‘অযোগ্যতার’ তোপ মমতার