ISL-এর শুরুতেই টানা তিন ম্যাচে হারের পর অবশেষে পয়েন্ট পেল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। এটিকে মোহনবাগানকে (Atk Mohunbagan) হারানো জামশেদপুর এফসিকে (Jamshedpur FC) রুখে দিল তাঁরা। তাও আবার অধিকাংশ সময়ে দশজনে খেলেই। লাল–হলুদ রক্ষণ এবং গোলকিপার শংকর রায়ের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে গোলের মুখ খুলতে পারল না জামশেদপুর।
স্ট্রাইকারের অভাব এদিনও ভুগতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্যভাবেই। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ড্র করে এক পয়েন্ট ঘরে তুললেও আপাতত তাদের থেকে যেতে হয় লিগ টেবিলের একেবারে শেষে। জামশেদপুর এফসি হায়দরাবাদ ও গোয়াকে টপকে পাঁচ নম্বরে উঠে আসে। পাঁচ ম্যাচে তাঁদের সংগ্রহে রয়েছে ৬ পয়েন্ট।
এদিন প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণাত্মক ভাবে শুরু করে জামশেদপুর। সেকারণে শুরুতেই দুরন্ত সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন জামশেদপুর এফসির অনিকেত যাদব। এদিন প্রথমবার মাঠে নামা শংকর রায়কে একা পেয়েও বল বাইরে মেরে বসেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথমার্ধের মাঝামাঝিতে অল্পসময়ের ব্যবধানে পরপর দু’টি হলুদ কার্ড দেখেন লিংডো। ফলে রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মার্চিং অর্ডার দেন। কিন্তু লিংডোর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও দেখা দিয়েছে।
Clean sheet target – Achieved ✅#SCEBJFC #HeroISL #LetsFootball https://t.co/gbVos2QTAi
— Indian Super League (@IndSuperLeague) December 10, 2020
আরও পড়ুন: SA vs Eng: করোনার জেরে বাতিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড সিরিজ, বিপুল ক্ষতি বোর্ডের
রিপ্লে দেখে ধারাভাষ্যকাররাও জানান, দ্বিতীয়বার কার্ড দেখার মতো ভুল করেননি তিনি। যদিও ততক্ষণে দশজনে হয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ফলে ফের একবার আক্রমণের ঝাঁঝ কমে যায় তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে ৩৮ মিনিটে জামশেদপুরের এজের হেড বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। এরপর লাল–হলুদের হয়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন পিলকিংটন–মাঘোমারা। কিন্তু বক্স স্ট্রাইকারের অভাব বারেবারেই দেখা যায়। এদিন শুরু থেকে জেজে খেললেও তিনিও বেশি সুবিধা করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা একই ছিল। দশজনের এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এগারোজনের জামশেদপুরের লড়াই। ফলে আক্রমণ বেশি করতে দেখা যায় জামশেদপুরকেই। কিন্তু লাল–হলুদ রক্ষণ এবং শংকর রায়ের দুরন্ত গোলকিপিংয়ের সৌজন্যে গোল করতে ব্যর্থ হয় জামশেদপুর। এরপর অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখেন জামশেদপুরের ডিনলিয়ানা। তবে এটি নিয়েও কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। ফলে শেষ কিছু সময় দশজনে খেলে দু’দলই। তবে কেউই কাজের কাজটি করতে পারেননি।
গত ম্যাচে দু’টি পেনাল্টির পর এদিনও লিংডোর লাল কার্ড নিয়ে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় রেফারির বিরুদ্ধে মাঠেই বারবার ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলার এবং তাঁর সহকারীরা। এমনকী হলুদ কার্ডও দেখেন লাল–হলুদের সহকারী কোচ। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন যথেষ্ট দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। অধিকাংশ সময় দশজনে খেলে অবশেষে এক পয়েন্ট পেল তাঁরা। যা অবশ্যই আগামিদিনে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস জোগাবে, এমনটাই মনে করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা।