প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বামেদের জোটবার্তা অধীরের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই অধীর চৌধুরী জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, করোনা-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। অধীরের কথায়, ‘করোনা পার হলেই স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে জবরদস্ত আন্দোলনে নামবে রাজ্য কংগ্রেস!’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেতেই বামেদের হাত ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার রাতে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেয় AICC. বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে এসে অধীরবাবু দায়িত্ব বুঝে নেন। তাঁকে সংবর্ধনা জানান কংগ্রেস কর্মীরা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেখানেই সরাসরি বামেদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুন : Breaking: NEET পরীক্ষার্থীদের জন্য শনিবারের লকডাউন প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন

অধীর আরও জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনী সমঝোতা বা জোট অটুট থাকবে। পাশাপাশিই, বিভিন্ন সময়ে অভিমান করে দল ছেড়ে যাওয়া নেতা-কর্মীদের কংগ্রেসে ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

অধীরবাবু বলেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করে লড়াই করেছিল বামেরা। কিন্তু তার পর তাদের মনে হয়েছে আশানুরুপ ফল হয়নি তাদের। ফলে লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা। কিন্তু কংগ্রেস তার অবস্থান থেকে সরেনি।

এ দিন অধীর জানান, বুধবার রাতে সনিয়া গাঁধী সরাসরি তাঁকে ফোন করে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য কংগ্রেস যে পরিস্থিতিতে আপাতত রয়েছে, তাতে এই দায়িত্ব একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে তিনি সেই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর কাউকে না কাউকে শূন্যস্থান পূরণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। সেই সুবাদে আমাকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছে।’’

বুধবার রাতে অধীরের নাম প্রদেশ সভাপতি হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর কালক্ষেপ না করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম-সহ সিপিএম নেতারা। আবার এ দিন প্রদেশ দফতরে অধীরের পাশে হাজির ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। যিনি কংগ্রেসের তরফে পরিষদীয় রাজনীতিতে সিপিএমের সমন্বয় রক্ষা করেন।

শেষ পর্যন্ত গান্ধী পরিবারের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে বাজিমাত করলেন অধীর। সঙ্গে অধীরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বুঝিয়ে দিল, মমতাকে খুশি রাখার রাজনীতি আর করতে চান না তাঁরা।

আরও পড়ুন : বলিষ্ঠ পেশি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে বাড়ছে ব্রেস্ট মিল্কের চাহিদা,অনলাইনে বিকোচ্ছে দেদার !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest