দিলীপের রামভক্তিও পাইরেটেড? বুধবার লকডাউন মানব, জানালেন রাজ্য BJP সভাপতি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাম মন্দিরের শিলান্যাসের দিন পশ্চিমবঙ্গে কমপ্লিট লকডাউন ভাঙায় সাধারণ মানুষকে উসকানি দিলেও নিজে যে লকডাউন ভাঙবেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এমনকী দিলীপবাবু জানিয়েছেন, রামমন্দিরের শিলান্যাস নিয়ে কোনও অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করবে না বিজেপি। পুরোটাই হবে সামাজিক ভাবে।

আরও পড়ুন : প্লাস্টিক বা চারাগাছ দিন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিন! অভিনব উদ্যোগ বর্ধমানের পাল্লা রোডে

বুধবার রামমন্দিরের শিলান্যাসের দিন পশ্চিমবঙ্গে কমপ্লিট লকডাউন ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত রামভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী ওই দিন পুলিশ কাউকে বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলেও হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু বুধবার লকডাউন ভেঙে নিজে কি রাস্তায় বেরোবেন দিলীপবাবু?

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বুধবার গোটা দিন নিজেকে গৃহবন্দি রাখবেন তিনি। তবে সকালে যাবেন প্রাতর্ভ্রমণে, তার পর কোনও মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। এর পর বাসভবনে ফিরে টিভিতে দেখবেন শিলান্যাস অনুষ্ঠান। দিলীপবাবু এদিন স্পষ্ট জানান, ‘লকডাউন মেনে আমি বাড়িতেই থাকব।’

প্রশ্ন উঠছে, নিজে যখন সরকারের নির্দেশ মেনে ঘরেই থাকবেন, তাহলে সাধারণ মানুষকে কেন আইন ভাঙার জন্য উসকাচ্ছেন দিলীপবাবু। রামভক্তি আসল হলে কেন ভয় পাচ্ছেন পথে নেমে পুলিশের মুখোমুখি হতে?

অনেকে বলছেন নিজেই চাপে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দলের নেতারাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কান ভাঙাচ্ছে। দিলীপ যেভাবে সব ক্রেডিট নিজে নিতে চান তা বিজেপির বাকি নেতাদের পছন্দ নয়। সেই অর্থে বিজেপির হয়ে বয়ানবাজি করতে দুজনকেই দেখা যায়। এক নম্বর দিলীপ। দুই নম্বর ধনখড়। বাকিদের কোনো আওয়াজ নেই যাতে বঙ্গ নেতৃত্ব একরবারেই খুশি নন। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপিতে এমন ফরম্যাটই চলছে। সেখানে প্রথম এবং শেষ কথা মোদী। ফলে বিজেপি সংগঠনের দিক দিয়ে আগামীতে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশংকা দলের পূর্ণ নেতাদের মনে।

গণতন্ত্রে কেবল ক্যারিশমা প্রদর্শন করে দলকে টিকিয়ে রাখা কঠিন। কিছুদিন তাতে কাজ হতে পারে। তাছাড়া দিলীপের নিজের কোনও ক্যারিশমাও নেই। তাছাড়া বাংলার বিজেপি সমর্থকরা দিলীপের ভুলভাল কথা শুনতেও পছন্দ করছে না। সব মিলিয়ে উনি নিজেই বিস্তর চাপে রয়েছেন বলে অন্দরের খবর।

আরও পড়ুন : কিশোর কুমারের জন্মদিনে মান্না দে’র গান পোস্ট, ফের হাসির খোরাক দিলীপ ঘোষ

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest