করোনা সংক্রমণ রুখতে ‘এক্সচেঞ্জ অফার’। পাঁচ কিলো প্লাস্টিক বা পাঁচটি চারাগাছ দিলে হাতে হাতে মিলবে এক লিটার স্যানিটাইজার ও দু’টি মাস্ক। রাখি পূর্ণিমায় এমনই অভিনব কর্মসূচি শুরু করল পাল্লা রোডের পল্লিমঙ্গল সমিতি। জমা পড়া চারাগাছ দিয়ে এলাকার সবুজায়ন করা হবে।
মূলত গ্রামের যে মানুষরা অর্থের অভাবে এসব সামগ্রী কিনতে পারছেন না, তাঁদের কথা ভেবে এই স্যানিটাইজার ব্যাঙ্কের উদ্যোগ। সোমবার সকালে বিষয়টি জানিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রচার গাড়ি বার করা হয়। প্রথম দিনেই ৩৫ কিলো প্লাস্টিক ও ৪৫টি গাছ জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। জেলার প্রত্যেকেই এই সুবিধা পেতে পারেন। তবে মাসে একবার করে।
আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপের জেরে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে,জলমগ্ন হতে পারে কলকাতা
বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমাশাসক সুদীপ ঘোষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘এর আগেও পল্লিমঙ্গল সমিতি এ ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। পেঁয়াজের দাম যখন বেড়েছিল তখন প্লাস্টিক নিয়ে তার বদলে পেঁয়াজ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়ার উদ্যোগ খুব প্রশংসনীয়।’ ব্যাঙ্কে জমা পড়া গাছের চারা কীভাবে ব্যবহার করা হবে? সন্দীপন বলেন, ‘এই চারাগাছ গোটা পাল্লা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় আমরা লাগাব। ক্লাবের মাঠ ছাড়াও প্রয়োজনে বাঁধের ধারে লাগানো হবে। প্লাস্টিক দিয়ে ইট তৈরির যে প্রকল্প আমরা করেছি, সেখানে সংগৃহীত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে।’
অন্যদিকে, ফের বর্ধমান শহরে একদিনে ৪৯ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এই নিয়ে জেলার সদর শহর বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০পার হয়ে গিয়েছে। জেলায় এ দিন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দশ জনই বর্ধমান শহর এলাকার বাসিন্দা। সব মিলিয়ে শহরের সব প্রান্তেই সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের রাস্তায় ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন ভুলে দোকানে বাজারে ভিড় করছেন। সেসব দেখে বাসিন্দাদের অনেকেই অবিলম্বে ফের একটানা লকডাউনের দাবি তুলছেন।
আরও পড়ুন: বুধবার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন, বাতিল একাধিক ট্রেন, চোখ রাখুন তালিকায়