আগামীকাল দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, বললেন ‘অমিত শাহের সঙ্গে দেখা হতেই পারে’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তৃণমূলের বীরভূম জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি সরব হলেন শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার রাতে শতাব্দীর একটি ফ্যান পেজে প্রথম ‘বেসুর’ শোনা গিয়েছিল। শুক্রবার শতাব্দী রায় নিজেই বললেন, বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সমস্যার কথা। সূত্রের খবর, দলের প্রতি অসন্তোষের কারণে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি।

কার প্রতি অসন্তোষে এতটা কঠোর হচ্ছেন শতাব্দী তা নিয়ে মুখ খোলেননি বীরভূমের সাংসদ। তবে সে জেলায় শেষ কথা যেহেতু অনুব্রত মণ্ডলই বলেন, শতাব্দীর অভিযোগের দিশা সেদিকেই বলে মনে করছে দলের একাংশ। তবে শতাব্দী জানিয়েছেন, “শনিবারের মধ্যেই আমার সিদ্ধান্ত জানাব। আর তো একটা দিন। একটু অপেক্ষা করুন।”

তবে তৃণমূলের (TMC) বীরভূমের সাংসদ (MP) স্পষ্ট জানালেন, আগামিকাল দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে জিইয়ে রাখলেন ধোঁয়াশা। শতাব্দী বলেন, “অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।”  শতাব্দী-অনুব্রতর ‘দ্বন্দ্ব’ ইতিমধ্যেই একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতার শীর্ষনেতৃত্বের হস্তক্ষেপে এতদিন তা রাখঢাক থাকলেও এবার বোধহয় আর চুপ থাকবেন না তিনি।

উল্লেখ্য, বৃহ্স্পতিবার বিকেলে ‘শতাব্দী রায় ফ্যান ক্লাব পেজ’ থেকে একটি পোস্ট করেন সাংসদ। সেখানে লেখেন, “২০২১ খুব ভাল কাটুক। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন। এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে প্রশ্ন করছেন, কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের বলছি, আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না, আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি।”

আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী’ করলেন বিজেপি সভাপতির পরিবার, মুখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাও! অস্বস্তিতে বিজেপি

এরপরই ১৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন বলে জানান তিনি। এতেই প্রশ্ন উঠতে উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এবার শতাব্দীও পদ্মাসনে বসতে চলেছেন? এ জল্পনা হেসে ওড়ালেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। বললেন, “এখন কেউ কিছু বললেই বিজেপির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেরকম কিছুই এখনও আমি ভাবিনি।” তবে কি এবার রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াবেন? শতাব্দীর জবাব, “এখনও তো কিছুটা সময় রয়েছে। দেখুন না কী হয়।”

এদিন খোলাখুলি তাঁর অসন্তোষ ব্যক্ত করেন তিনি শতাব্দী রায়। বলেন, “আমার তো একস্ট্রা কিছু চাওয়ার নেই। আমার ব্যক্তিগত আক্রমণও নেই। আমার শুধু একটাই কথা যে, আমাকে আমার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হোক। এখন আমার সমস্যা আমি বলেছি। আমি জানিয়েছি, আমার কাজটা করতে পারছি না। কারণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশ্নের সম্মুখীন তো আমাকে হতে হবে। এখন দল যদি বলে দেয় যে, আমাকে কোনও প্রশ্ন করা হবে না, প্রশ্ন করা যাবে না, তাহলে অন্য কথা।

” তবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বললেও সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান শতাব্দী (Shatabdi Roy)। এমনকি কাল দিল্লি যাওয়ার আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তিনি কথা বলবেন কিনা, সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি সাংসদ। বলেন, “আমি এখনও ঠিক করিনি যে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলব কি বলব না।”

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে আসছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়’, বললেন সৌমিত্র খাঁ, জবাব প্রাক্তন ফুটবলারের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest