The News Nest: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হলেন সৈয়দ নুরুস সালাম। শিক্ষাদরদী, এই মানুষটি তাঁর কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন দুই জমনাতেই। সৈয়দ নুরুস সালাম এমন একজন দক্ষ অফিসার যিনি শিক্ষা দফতরকে হাতের তালুর মত চেনেন ।
শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন নুরুস সালাম। এরপর ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন সার্ভিস পাশ করে শুরু করেন দ্বিতীয় ইনিংস।। একাধিক জেলার শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার পর আবদুস সাত্তার যখন রাজ্যের সংখ্যালঘু মন্ত্রী ছিলেন সেই সময় তাঁকে মাদ্রাসা বোর্ডের সচিব পদে নিয়োগ করা হয় ।
আরও পড়ুন : আটকাবে রোগ, হবে স্টাইল! পরবেন নাকি সোনার মাস্ক? জেনে নিন দাম…
মাদ্রাসা বোর্ডকে একটা সময় রাজ্যে পরিচিত করানোর পেছনে নুরুস সালামের অবদান অস্বীকার করা যাবে না । বামফ্রন্ট সরকার চলে যাওয়ার পর মমতা সরকারের আমলেও তিনি মাদ্রাসা বোর্ডের সচিব পদে ছিলেন । এই সময় তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হল আন-এডেড মাদ্রাসার জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য বের করে আনা ।বিকাশ ভবনের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক হিসাবেও তিনি যোগ্যতা পরিচয় দিয়েছেন ।
যে কয়েকটি গুণ থাকলে মানুষ শিরদাঁড়া সোজা করে চলতে পারে সেগুলি তাঁর রয়েছে। ব্যাক্তিজীবনে তিনি অসম্ভব রকমের সৎ। নিজের কাজের প্রতি ষোলো আনা দায়বদ্ধ। পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট সালামের সাহিত্যের প্রতি রয়েছে আগাধ টান। তাঁর লেখাও অত্যন্ত সুখপাঠ্য। কারও তাঁবেদারি করা তাঁর মজ্জায় নেই।
এরকম একজন ব্যক্তি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হওয়ার ফলে তা নিঃসন্দেহে সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো হবে। সৈয়দ নুরুস সালাম মুক্ত চেতনার মানুষ। মানুষের কল্যাণ তাঁর কাছে সবথেকে অগ্রাধিকার পায়। ধর্ম, বর্ণ, জাত ব্যতিরেখে। তবে সাচার কমিটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে দেশ তথা এই বাংলায় মুসলিমদের দুর্গতির বাস্তব ছবি।
মিশনগুলির কল্যাণে মুসলিম ছেলে মেয়েরা এগিয়ে আসছে। কিন্তু এগিয়ে আসা-ও পিছনে পরে থাকাদের মধ্যে ব্যবধানটা বড় বেশি। সেটা কমিয়ে আনার দায় কেবল মুসলিমের নয়।এ দায় গরিষ্ঠ-লঘিষ্ঠ সবার। সালামের মত মানুষরাও এরকম করেই ভাবেন।
কৃতজ্ঞতা বাংলার জনরব
আরও পড়ুন : বেহালা পর্ণশ্রীতে অগ্নিকান্ড, ঝলসে মৃত্যু মা-মেয়ের